ভারতের প্রতিটি রাজ্য এবং এখানে উপস্থিত শহর ও জেলাগুলি বিভিন্ন জিনিসের জন্য বিখ্যাত। কিছু শহর প্রচুর সম্পদের জন্য বিখ্যাত, আবার কিছু শহর আছে যেখানে মানুষ কম খরচে জীবনযাপন করছে। কিছু শহর বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিখ্যাত, আবার কিছু শহর আছে যেখানে আয়ের বিশাল উৎস রয়েছে। কিছু শহর শিল্পের জন্য পরিচিত হলেও, কিছু শহর আছে যেখানে মানুষ তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে আসে।
আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, জীবনধারা এবং খাবার প্রতিটি শহরকে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়। আজ এমন একটি জেলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব যা সবচেয়ে দরিদ্র জেলার মর্যাদা পেয়ে বসে আছে। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই জেলা দারিদ্র্যের প্রতিটি স্তরে তলানিতে রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, এর একটি অনন্য পরিচয় রয়েছে। অন্যান্য জেলার তুলনায় এখানকার মানুষের সম্পদ কম, যার কারণে দারিদ্র্য তাঁদের পিছু ছাড়ছে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা হয়, তাই এর উত্তর জানা গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ জ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি জরুরি।
নীতি আয়োগ-এর ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা হল মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর। এমপিকে দেশের হৃদয় বলা হয়। এখানে অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। একই সঙ্গে, যদি আমরা আলিরাজপুরের কথা বলি, তাহলে এখানে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। এই জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ২৮ হাজার, যার মধ্যে ৭১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

এছাড়াও, এটি ভারতের সবচেয়ে কম শিক্ষিত জেলাও। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, এখানকার গড় সাক্ষরতার হার ৩৬.১০ শতাংশ। এখানে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৫১.৯২ শতাংশ, যেখানে মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৩৫.৫৪ শতাংশ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তনও আনতে পারছে না।
আলিরাজপুরের কথা বলতে গেলে, এটি একটি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা। একে আলিয়া রাজ্যও বলা হত। এর ইতিহাস প্রাচীন। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ও শ্রমের উপর নির্ভরশীলম। কিন্তু প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাব এবং আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে এখানকার মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করছে।