পহেলগাঁও হামলার দুই সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অপরেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই হামলায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের বেশি জঙ্গির। সেই মৃতদের শেষকৃত্যে দেখা গেল লস্কর কমান্ডো হাফিজ আবদুল রউফের পাশে দাঁড়িয়ে পাক সেনা জওয়ানরাও। এই ভিডিও প্রকশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, এরপরেও জঙ্গিবাদে মদত দেওয়ার বিষয়টি কীভাবে অস্বীকার করে ইসলামাবাদ?
ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের সবচেয়ে ভিতরে মুরিদকেতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মঙ্গলবার রাতে। জায়গাটি লাহোর শহর থেকে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানেই তিন জঙ্গির শেষকৃত্যে দেখা গেল লস্কর শীর্ষ নেতার পাশেই দাঁড়িয়ে পাক সেনা, পাকিস্তানের পুলিশকর্মীরা, অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরও। এছাড়াও অন্তেষ্টিক্রিয়ায় দেখা গিয়েছে হাফিজ সইদ প্রতিষ্ঠিত আরেক নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়াহর সদস্যদের। সূত্রের খবর, নিহত কারি আবদুল মালিক, খালিদ ও মুদাস্সির জেইউডির সদস্য। ভিডিওগুলিতে দেখা গিয়েছে, পাক সেনারা তিন নিহতের কফিন কাঁধে তুলছেন। কফিনটিকে পাকিস্তানের পতাকায় মোড়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। ৭ এপ্রিল রাত একটা পাঁচ থেকে দেড়টার মধ্যে পঁচিশ মিনিটের অপরেশন চালিয়ে বদলা নিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সওয়া নাল্লা, সারজাল, মুরিদকে, কোটলি, কোটলি গুলপার, মেহমোন্না জোয়া, ভিমবের এবং ভাওয়ালপুরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। বায়ুসেনার এই অভিযানে অন্তত ৮০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পালটা হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান।
