ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব চিনের

Spread the love

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে চিন। পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতেই সন্ত্রাসবাদীদের জন্য মন কেঁদে উঠেছে পাকিস্তানের। তারপর থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ভারতে তিনবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসলামাবাদ। বিনা প্ররোচনায় ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। তার জেরে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন। যে দেশের ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে পালটা আক্রমণ চালিয়েছে ভারত।

শনিবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘বেজিং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দুই দেশের উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়েও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা উভয় পক্ষকেই শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার, শান্ত ও সংযম দেখিয়ে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক নিষ্পত্তির পথে ফিরে আসার কথা বলছি। উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে উভয় দেশকেই বিরত থাকার জন্য দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের মৌলিক স্বার্থের জন্যই তাঁদের আচরণ শান্তিপূর্ণ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শুধু চিন নয়, আন্তর্জাতিক সমস্ত সম্প্রদায় এই আচরণই দেখতে চাইছে। দুই দেশের শান্তিস্থাপনের লক্ষ্যে গঠনমূলক ভূমিকা নেওয়ার জন্য ইচ্ছুক চিন।’

শুধু চিন নয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আলোচনায় সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে জানান, ‘মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন।রুবিও উভয় পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনের উপায় খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করার জন্য মার্কিন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।’

এই আবহে শনিবার বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের রাফিকি, মুরিদ, চাকলালা ও রহিম ইয়ার খান নামে পাক বায়ুসেনার ঘাঁটির ভারত পালটা আক্রমণ চালিয়েছে। এছাড়াও সুক্কুর, চুনিয়ায় পাক সেনাঘাঁটি, পাসরুর ও শিয়ালকোটেও ভারত হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ‘ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের আক্রমণ জারি রয়েছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে। ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে গোলাবর্ষণ চলছে। অধিকাংশ হামলায় ভারত নিষ্ক্রিয় করেছে। উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *