ভারত সহ বহু সঙ্গীর সঙ্গে কোন ‘অ্যাকশন প্ল্য়ান শীঘ্রই সম্পন্ন’করার কথা বললেন পুতিন?

Spread the love

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের মাঝে নতুন করে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশ্বের। কিছুদিন আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের নৃশংস হত্যালীলা ও তারপর ভারতের পাল্টা জবাবে ‘ অপারেশন সিঁদুর’ দুই দেশের সংঘাতের বাতাবরণকে আরও গভীর করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আঙিনায় সম্পর্কের সমীকরণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আর সেই প্রেক্ষাপটে এবার ভারত সহ একগুচ্ছ সঙ্গী দেশের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি আর্থিক সমঝোতা তড়িঘড়ি সম্পন্ন করতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার বলেছেন যে ভারতের সাথে ২০৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য মস্কোর অ্যাকশন প্ল্যান শীঘ্রই চূড়ান্ত করা উচিত। সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা করেন যে মস্কো, ভারত সহ তার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন বলেন,’ আমি মনে করিয়ে দিই যে আমরা মূল অংশীদারদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে সম্মত হয়েছি।’ এরইসঙ্গে পুতিন বলেন,’ ভারতের মতো দেশগুলি সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অ্যাকশন প্ল্যান, শীঘ্রই সম্পন্ন করা উচিত।”’ 

পুতিন বলেছেন,’আমরা ইতিমধ্যেই তেল ও গ্যাস রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এটি অর্জনের জন্য, আমরা অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলব, বাণিজ্য বাধা দূর করব, নতুন বাজারের ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করব, অবকাঠামো তৈরি করব এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও গভীর করব।’ উল্লেখ্য, যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে ভ্লাদিমির পুতিনের এই বক্তব্য ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের নিরিখে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ‘

উল্লেখ্য, আর্থিক বিষয়ক ‘সেন্ট পিটার্সবার্গ ইকোনমিক ফোরাম’কে অনেকেই ‘রাশিয়ার দাভোস’ বলে উল্লেখ করেন। সেই সভায় দাঁড়িয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন,’ একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবেই উদীয়মান সূর্যের মতো উদীয়মান হচ্ছে। এটি থামানোর কোনও উপায় নেই, আমাদের ভূমিকা হল এই প্রক্রিয়াটিকে আনুষ্ঠানিক করা এবং এটিকে সহজতর করা, এটি নিশ্চিত করা যে এটি আরও ভারসাম্যপূর্ণভাবে বিকশিত হয় যা বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতির স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’সদ্য SPIEF-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন কেন্দ্রীয় রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ভারতের অগ্রগতি এবং নীতিগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তিগত বিকাশের জন্য এর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন বৈষ্ণো। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *