পাকিস্তান তার প্রায় সমস্ত সামরিক সরঞ্জামই চিনের থেকে কিনেছে। ফাইটার জেট থেকে শুরু করে কামান, চিনা পণ্যের উপর নির্ভর করে পাকিস্তান। চিনের থেকে যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে চাইছে পাকিস্তান। এই আবহে জানা গিয়েছে যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে চিনের তৈরি এসএইচ-১৫ কামান মোতায়েন করেছে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এসএইচ-১৫ কামানটি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিতে (পিএলএ) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৯ সালে চিনের কাছ থেকে এই কামানের ২৩৬টি ইউনিট কিনেছিল পাকিস্তান। এই আধুনিক মোবাইল হাউইৎজার সিস্টেমটি তৈরি করে নরিনকো কোম্পানি।রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫৩ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম চিনে তৈরি এই এসএইচ-১৫ কামান। এদিকে নরিঙ্কো সংস্থাটি নিষিদ্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রিপোর্ট অনুসারে, ১৫৫মিমি/৫২-ক্যালিবারের গোলা ছুড়তে পারে এসএইচ-১৫ কামানগুলি।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের সীমান্তে বিমান প্রতিরক্ষা এবং আর্টিলারি ইউনিটগুলিকে এগিয়ে এনেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য, ৮ মে লাহোর সহ পাকিস্তানের একাধিক জায়াগার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজস্থানের বারমেরের লঙ্গেওয়ালা সেক্টরের কাছে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম এবং বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে পাক বাহিনী।