গাজা যুদ্ধ চলাকালে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর ইসরাইলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার অভিযোগে তেল আবিবের সাবেক সামরিক প্রসিকিউটরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ভিডিও ফাঁসের অভিযোগ উঠায় তিনি পদত্যাগ করেন এবং তারপর নিখোঁজ হন।
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রীর মতে, মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমিকে সোমবার রাতভর আটক করা হয়েছিল।ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিওটি ফাঁস হওয়াকে সম্ভবত ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার উপর সবচেয়ে বড় ‘জনসংযোগের উপর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর টোমার-ইয়েরুশালমি রোববার কয়েক ঘন্টার জন্য নিখোঁজ ছিলেন, যার ফলে সম্ভাব্য আত্মহত্যার চেষ্টার জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
শুক্রবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তার পদত্যাগপত্রের অনুলিপি অনুসারে, টোমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেছেন, তার অফিস গত বছর ভিডিওটি মিডিয়াতে প্রকাশ করেছিল।
জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির সোমবার টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘গত রাতের ঘটনার আলোকে, কারা পরিষেবা আটককেন্দ্রে যেখানে তাকে রাখা হয়, সেখানে বন্দির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতার সাথে কাজ করতে একমত হয়েছে।

বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
২০২৪ সালের আগস্টে ওই ভিডিও প্রকাশের অনুমতি তিনিই দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন ইয়েরুশালমি।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তেল আবিবের একটি আদালত বুধবার দুপুর পর্যন্ত তোমের-ইয়েরুশালমির রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে, সরকারি সম্প্রচারক কান জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গ, পদের অপব্যবহার, ন্যায়বিচারে বাধা এবং একজন সরকারি কর্মচারীর তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর একটি নিরাপত্তা ক্যামেরার ভিডিও ইসরাইলের চ্যানেল১২ তে ফাঁস হয়। তাতে দেখা যায়, কয়েকজন সেনা এক বন্দিকে পাশে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, চারপাশে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন সশস্ত্র সৈন্য। পরে ভেতরে কী ঘটছে তা দেখা যাচ্ছিল না।
এদিকে, পদত্যাগপত্রে টোমার-ইয়েরুশালমি বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আইনবহির্ভূত কিছু করেননি; বরং সেনাবাহিনীর আইনি বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধ চলাকালে সেই বিভাগটি ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিণত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।