ভুয়ো পড়ুয়া সেজে IITতে ২ সপ্তাহ! তৈরি করেছে ২১ মেইল আইডি

Spread the love

বম্বে আইআইটির অন্দরে এক ভুয়ো পড়ুয়ার হদিশ ঘিরে ক্রমেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবকের নাম বিলাল আহমেদ তেলি। কেন সে ২ সপ্তাহ ধরে উচ্চ নিরাপত্তা যুক্ত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে ছিল? কী উদ্দেশ্য তার? এই সমস্ত নিয়ে ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই বিলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে তাকে জেরা করছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, সন্ত্রাসদমন শাখাও। কীভাবে ধরা পড়ে বিলাল? কী ঘটেছিল আইআইটি বম্বের অন্দরে?

ঘটনা গত ২৬ জুনের। সেদিন আইআইটি বম্বের এক কর্মী দেখতে পান, বিলাল সেখানে এক জায়গায় সোফায় শুয়ে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তার পরিচিতি। বিলাল উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে ছুটতে থাকে, বলে খবর। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। জানা যায়, আইআইটি বম্বের ছাত্রই নয় বিলাল। তাহলে সে কীভাবে থাকছিল আইআইটি বম্বের ভিতরে? জানা যায় ১ দিন বা ২ দিন নয়,টানা ২ সপ্তাহ ধরে ম্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা বিলাল আহেদ তেলি আইআইটি বম্বের অন্দরে ছিল। করেছে ঘোরাফেরা।

সঙ্গে সঙ্গে আইআইটি বম্বে কর্তৃপক্ষ খবর দেয় পুলিশকে। বিলাল গ্রেফতার হয়। বিলালকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দেওয়া হয়েছে। তথ্য বলছে, ক্যাম্পাসের হস্টেলে সোফায় ঘুমিয়ে নিত বিলাল। ক্লাসেও যেত সে, যেখানে বিনামূল্যের কফি পাওয়া যায়, সেখানে সেটি খেয়ে নিত বিলাল। সকলের কাছে নিজেকে পিএইচডি পড়ুয়া বলেও পরিচয় দিত সে। তথ্য বলছে, বিলাল ভুয়ো প্রবেশিকা সংক্রান্ত নথি পেশ করেছিল। কিন্তু কী উদ্দেশ্য ছিল বিলালের? কেন এমনটা করল সে? রহস্য ঘনাচ্ছে। 

মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ বলছে, বিলাল আইআইটিতে অবৈধভাবে থাকাকালে এআই সংক্রান্ত সেমিনার-এ যোগ দিয়েছিল। জেরায় আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায় বিলাল। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, বিলাল জেরায় জানিয়েছে, সে গত বছরেও আইআইটি বম্বেতে ছিল এইরকমই অবৈধভাবে, তবে কেই জানতে পারেনি। বিলালের ফোন আপাতত পুলিশের হাতে। পুলিশ ফোন হাতে পেতেই জানতে পেরেছে, ফোন থেকে বহু ডেটা ডিলিট করে দিয়েছে বিলাল। ডিলিট হওয়া ডেটা ফেরত পেতে চেষ্টা করছে পুলিশ। বিলাল ক্যাম্পাসের ভিডিয়োও করেছে বলে জানা যায়। তবে তা কাউকে পাঠায়নি।

পুলিশ জানতে পেরেছে বিলাল ২১ টি ইমেল আইডি তৈরি করেছে। জেরায় বিলাল বলছে, সে তার বিভিন্ন ভ্লগের জন্য এমন আইডি তৈরি করেছিল। তার দাবি, সে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হতে চায়। আর তার জন্যই এমনটা করছিল। অফিসার সূত্রের খবর, গুজরাটের সুরতের একটি প্রাইভেট সংস্থায় কর্মরত বিলাল। সেখান থেকে সে মাস গেলে ১.২৫ লাখ টাকা রোজগার করে। জানা যায় বিলালের বাবা একজন পোশাক ব্যবসায়ী। বিলাল, এর আগে, দুবাই ও বাহারিনেও গিয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে ৬ মাসের সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্টেরও কোর্স করেছে বিলাল। তাঁর আইটিতে আগ্রহ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *