প্রকাশ্য রাস্তায় কাউন্সিলর-তরুণীর হাতাহাতি, চুলোচুলি! পানিহাটির পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইনিউজ বাংলা। তারপর থেকেই বিভিন্ন মহলে সেই ঘটনা নিয়ে চর্চা চলছিল। সমালোচিত হচ্ছিলেন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়। সেই ঘটনারই মিটমাট করা হল। ‘সন্ধি’ হল দু’পক্ষের! এদিন ওই তরুণীকে পাশে বসিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করলেন কাউন্সিলর। তরুণীও জানালেন, তিনিও ভুল করেছিলেন। কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় ওই তরুণীকে নিজে হাতে চকোলেট খাইয়ে দেন। স্নেহের বশে তরুণীকে আলগোছে জড়িয়েও ধরেন।
জানা গিয়েছিল, ওই ঘটনাটি গত সোমবারের। পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাট থেকে বাইকে যাচ্ছিলেন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়। তখন একটি স্কুটি এসে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারলে বিবাদের সূত্রপাত হয়। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, মহিলা কাউন্সিলর বাইক থেকে নেমে তরুণীর দিকে এগিয়ে যান। প্রথমে আঙুল উঁচিয়ে শাসানি, তারপর হঠাৎই তরুণীর গালে সপাটে চড় কষান। পালটা তরুণীও কাউন্সিলরকে ‘শিক্ষা’ দিতে কখনও লাথি, আবার কখনও চুলের মুঠি ধরে মারেন সকলের সামনে। চুলোচুলি, হাতাহাতির মধ্যেই একসময় দু’জনেই রাস্তার উপর গড়াগড়ি খান। বিবাদ ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় উপস্থিত লোকজনকে। শেষে খড়দহ থানার ট্রাফিক পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।

ভাইরাল ভিডিওতে জনপ্রতিনিধির এহেন আচরণে নিন্দার ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়। কাউন্সিলরের আচরণ আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল বলেই দাবি ওঠে। কটাক্ষ করে বিরোধী শিবিরও। সেই আবহে আজ, শনিবার কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। পাশে বসে দু’জনে বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন। ওই ঘটনা সেদিন কাম্য ছিল না। সেই কথাও জানানো হয়। পরে নিজে হাতে শ্রাবন্তী রায় ওই তরুণীকে চকোলেট খাইয়ে দেন। পরে তরুণীও কাউন্সিলরকে চকোলেট খাওয়ান। ওই তরুণীকে নিজের কন্যাসম বলেও এদিন জানিয়েছেন শ্রাবন্তী।
কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় বলেন, “সেদিনের ঘটনার আকস্মিকতায় সত্যিই মর্মাহত। মাথা গরম হয়ে যাবে, বুঝতে পারিনি। আমার আরও সংযমী মনোভাব প্রকাশ করা উচিত ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাকে ও আমার দলকে ছোট করার চেষ্টা চলছে। ও আমার কন্যাসম। আমারও মাথা গরম করা উচিত হয়নি।” ওই তরুণী বলেন, “রাস্তার ঘটনা রাস্তাতেই মিটে গিয়েছে। আমিও কিছু ভুল করেছি। উনিও করেছে।”