ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্ব এবার শিক্ষকদের কাঁধে

Spread the love

ভোট সংক্রান্ত কাজে এবার বড়সড় পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন। বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) পদে শুধুমাত্র পূর্ণ সময়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরই নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিএলও পদে নিযুক্ত হতে গেলে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হতে হবে সরকারি বেতনভুক্ত ও ডিএ (ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স) প্রাপক। অর্থাৎ সরকারি স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারাই এই দায়িত্ব পাবেন। একই সঙ্গে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এই কাজে নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ কি না তা আগে যাচাই করতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। 

এর আগে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, গ্রুপ-সি বা তার ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরতদেরই এই দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু সেই পদে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী না মেলায় নিয়মে বদল আনতে বাধ্য হল কমিশন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রয়োজন হলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদেরও কাজে নেওয়া যেতে পারে। তবে প্রথম পছন্দ থাকবেন পূর্ণ সময়ের স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই নির্দেশ জারি হতেই রাজ্যজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ নামে একটি সংগঠন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে ভোটার কার্ড তৈরির মতো গুরুতর দায়িত্ব শিক্ষকদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক অশিক্ষামূলক কাজ শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার ক্ষতি হবে। সংগঠনের দাবি,স্কুলে এমনিতেই শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে। পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। সেই সময়েও শিক্ষকদের প্রশাসনিক কাজে বাধ্য করা শিক্ষার ক্ষতি। ঐক্য মঞ্চের দাবি, বিএলওদের যথোপযুক্ত সম্মানী দেওয়া হোক। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে একদিকে প্রশাসনিক সুশৃঙ্খলতা রক্ষার যুক্তি থাকলেও অন্যদিকে শিক্ষকদের উপর অতিরিক্ত চাপ ও শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি অবহেলার অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে। এই নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *