মন্ত্রী জড়িয়ে ধরলেন পহেলগাঁও চক্রী সহ একাধিক জঙ্গি নেতাকে

Spread the love

তাদের প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার বর্ষপূর্তিতে ‘ইয়ুম-ই-তাকবীর’ উদযাপন করছে পাকিস্তান। ২৮ মে কাসুর জেলায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের মন্ত্রীদের সাথে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরাও মঞ্চে পৌঁছেছিল। অনুষ্ঠানে ছিলেন পাক মন্ত্রী মালিক রশিদ আহমেদ খান এবং পঞ্জাব বিধানসভার স্পিকার মালিক মহম্মদ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন। দুজনকেই প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। তার পাশেই ছিল লস্কর জঙ্গি সইফুল্লা কাসুরি, হাফিজ সইদের ছেলে তালহা সইদ, আমির হামজার মতো জঙ্গিরা।

অপারেশন সিঁদুরের পর সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে চোখের জল ফেলতে গিয়েছিলেন পাক সেনা আধিকারিকরা। সন্ত্রাসবাদীদের পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তান অবশ্য এরপরও সারা বিশ্বে নিজেদের নির্দোষ জাহির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ফের একবার পাকিস্তানের মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকদের জঙ্গিদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে দেখা গেল। শুধু তাই নয়, পঞ্জাবের মন্ত্রীরা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশংসা করেন এবং তাদের পাকিস্তানের জনগণের রক্ষক বলে অভিহিত করেন।

উল্লেখ্য, সইফুল্লা কাসুরি হল পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড। এই জঙ্গি নেতা নিজেই গর্ব করে বলেছিল যে পহেলগাঁওয়ের জন্যই গোটা বিশ্ব এখন ওকে চেনে। পাক মন্ত্রী নিজে এই সব সন্ত্রাসবাদীদের মঞ্চে স্বাগত জানান এবং তাদের জড়িয়ে ধরেন। এর পর সন্ত্রাসীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। অপারেশন সিঁদুরে নিহত লস্কর কমান্ডার মুদাসিরের ভাইকেও সরকারি চাকরির প্রস্তাব দেন তিনি।অনুষ্ঠান চলাকালীনই মন্ত্রীর সামনে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্ব করতে শুরু করে অভিযুক্ত। পহেলগাঁওয়ের মাস্টারমাইন্ড সইফুল্লা কাসুরি বলে, ‘পহেলগাঁওয়ের জন্য আমাকে দোষারোপ করা হয়েছিল এবং এখন পুরো বিশ্ব আমাকে চেনে।’ উল্লেখ্য, ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল সাইফুল্লাহ কাসুরি। তার এভাবে আবির্ভাব দেখে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তিনি আইএসআইয়ের আশ্রয়ে বসবাস করছিল সে।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে কাসুরি পাকিস্তানি নেতাদের নাম ধরে ধন্যবাদ জানাতে শুরু করে। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীরা সংবাদমাধ্যমকে ভিডিও রেকর্ড বারণ করে দেয়। লস্কর-ই-তৈবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী আমির হামজা মঞ্চ থেকে খলিস্তানি স্লোগান তোলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি পঞ্জাবকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করছে এই জঙ্গিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *