মমতার সঙ্গে মিছিলে হাঁটুন! CPMকে তীব্র কটাক্ষ শমীকের

Spread the love

২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করতে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের কর্মীদের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হওয়ার পরে প্রথম বক্তৃতায় সরাসরি সিপিএমের বিরুদ্ধে ভোট কেটে তৃণমূলের সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ করলেন তিনি। একই সঙ্গে ঢাকায় ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার কথা মনে করিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করলেন কংগ্রেসকেও।

এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘সমস্ত সিপিআইএমের ভাই – বন্ধু শুনুন। সমস্ত বামপন্থী, সমস্ত কংগ্রেসিদের উদ্দেশে বলছি। ভোট কাটার রাস্তায় গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনবেন না। সরাসরি রাস্তায় নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিছিল করুন। আমরা লড়াই করার জন্য প্রস্তুত আছি। আড়ালে চক্রান্ত করবেন না। বিজেপি কারও দয়ায় এই জায়গায় পৌঁছয়নি। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের রাজনৈতিক উত্থান দেশের মানুষকে দেখিয়েছি।’

রাজ্যের বিরোধী দলগুলির কর্মীদের কাছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির আবেদন, ‘তাই যার যা পতাকা আছে ওই পতাকাগুলো কিছুদিনের জন্য একটু আলমারির ওপরে তুলে রাখুন। পথে নামুন। তৃণমূলকে সরান। তৃণমূলকে বিসর্জন দিন। ২০২৬এর নির্বাচন তৃণমূলের বিসর্জন।’

এর পরই কংগ্রেসিদের বার্তা দিয়ে শমীকবাবু বলেন, ‘তাকিয়ে দেখুন বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন যে ইন্দিরা গান্ধী, তার কুশপুত্তলিকায় সেখানে রোজ থুতু ফেলছে। ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে। এটা দেখার পরেও যদি কারও রক্ত গরম না হয় সে নিবীর্য, ক্লীব। উঠে দাঁড়ান। এগিয়ে আসুন। শ্রীমতী গান্ধী আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মহিলা নেত্রী ছিলেন, আমাদের বিরোধী ছিলেন। কিন্তু আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই অমর্যাদা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। তাই সমস্ত মত পথ ভুলে এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তার পর যে যার পথ খুঁজে নেবেন। যে যার পতাকা তুলে নেবেন হাতে। বিরোধীদের জন্য প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার পরিসর স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হবে। সেটাকে ভরাট করবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *