‘মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না, লিখে নিন’ অগ্নিগর্ভ মহেশতলা

Spread the love

মহেশতলায় ভয়াবহ উত্তেজনা মঙ্গলবার দুপুরে। একের পর এক পুলিশকর্মী আহত। পদস্থ পুলিশকর্তাদের সামনে ইটবৃষ্টি হল। দফায় দফায় পাথর ছুঁড়ল উত্তেজিত জনতা। তাদের ছোঁড়া ইঁটে একের পর এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাইক। বাসিন্দাদের দাবি, এটা পুলিশের বাইক। দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সেই বাইক। একের পর এক পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ পিছু হঠে। উত্তেজিত জনতা রবীন্দ্রনগর থানার কাছেই ঝামেলা পাকাতে শুরু করে। সিসি ক্যামেরা ভেঙে চলে ইটবৃষ্টি। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে। তারপরেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। তবে এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। শুরু হয় ধরপাকড়। বিভিন্ন গলিতে পুলিশ ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীদের আটক করা শুরু করে। এদিকে ছাদ থেকেও ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরেই ফুঁসে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এবার আধাসেনা মোতায়েনের দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করার জন্য ভবানী ভবনে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ডিজির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তাঁর দাবি ডিজি দেখা করেননি।

শুভেন্দু বলেন, ৩৫জন পুলিশ মার খেয়েছে। ১২টা পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে। এটা জেহাদিদের সরকার। মমতা মুখ্য়মন্ত্রী থাকবেন না। লিখে রাখুন। আমার পুলিশ ভাইরা মার খাচ্ছে। তুমি ফেল করলে প্যারামিলিটারি চাও, এটা বলা আছে। কাল বিধানসভা উত্তাল হবে। বলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, কোথাও একটা আপত্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুলিশ সেটা দেখছে। সংঘাত থাকতে পারে। পাড়ার লোক, পুলিশ প্রশাসন এটা সামলেছে।

একের পর এক পুলিশকর্মী রক্তাক্ত। পাথর ছুঁড়ে ভাঙা হল পুলিশের গাড়ি। ছাদ থেকে ইট ছোঁড়া হল। কেন রুখতে পারল না পুলিশ? এত মানুষ জড়ো হয়ে গেল? পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রবীন্দ্রনগরে। দফায় দফায় বিক্ষোভ। পুলিশের সামনেই চলল ভাঙচুর। আক্রান্ত হল পুলিশ। সাদা উর্দি ভিজে গেল রক্তে। পুলিশের গাড়িতে চলল ভাঙচুর। উত্তেজনা থামাতে হিমসিম খেল পুলিশ। কারা রয়েছে এর পেছনে? তবে কি পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হল? কেন পুলিশ কঠোরতম ব্যবস্থা নিল না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *