‘মাকে বরাবরই…’! ১ মাস কাটার আগেই রহস্যমৃত্যু

Spread the love

গত ১৮ এপ্রিল দিলীপ ও রিঙ্কু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর বিয়ের ১ মাস কাটার আগেই ঘটে গেল বড় অঘটন। মঙ্গলবার ১৩ মে, নিউটাউনে শাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হল রিঙ্কুর তরুণ পুত্র প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়ের অচৈতন্য দেহ। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আপাতত দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন প্রীতম। গলায় ফাঁস লাগানোর দাগও দেখা গিয়েছে বলে খবর।

আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই ‘আত্মহত্যা’র কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠছে দিলীপ ও রিঙ্কুর বিয়েতে কি খুশি ছিলেন না তিনি?

দিলীপ ও রিঙ্কুর বিয়েতে গরহাজির ছিলেন ছেলে। সাক্ষাৎকারে রিঙ্কু দাবি করেন, কয়েকদিনের টানা ছুটি পেয়ে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম নাকি ঘুরতে চলে গিয়েছেন। আবার রিঙ্কু এক সংবাদমাধ্যমে এমনটাও দাবি করেছিলেন যে, ইচ্ছাকৃতভাবেই নাকি সে মায়ের দ্বিতীয় বিয়েতে থাকতে চায়নি। যদিও দিলীপের সঙ্গে গাঁটছড়ায় তাঁর ছিল না কোনো আপত্তি।

২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই সময় রিঙ্কু-পুত্র বলেছিলেন, ‘আমি খুব খুশি। মায়ের জন্য খুশি। মা আমার জন্য, সমাজের জন্য অনেকগুলো বছর দিয়েছেন। এখন যে সংসার পাতার কথা ভেবেছেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মায়ের সেই সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি। মা-কে বরাবরই সমর্থন করে এসেছি, পরবর্তীতেও করব…’

সঙ্গে আরও বলেছিলেন যে, ‘মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করি। ছুটি তো খুব একটা পাই না। গুড ফ্রাইডের ছুটি কাটাতে কলকাতার বাইরে এসেছি। আগে থেকে প্ল্যান ছিল আমার। কোনো জল্পনার প্রয়োজন নেই। কলকাতায় থাকলে আমি ওখানেই থাকতাম। আমি থাকতে পারলে মা খুব খুশি হতেন। উনিও (দিলীপ) খুশি হতেন।’

বলে রাখা ভালো, বিয়ের আগেই সৎ ছেলেকে নিয়ে খেলা দেখতে ইডেনে গিয়েছিলেন দিলীপ! এমনকী, নিবেদিতা অনলাইন নামক এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও, রিঙ্কুর মাতৃত্বের প্রশংসা বারংবার শোন গিয়েছিল দিলীপের মুখে।

প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়ের রহস্য মৃত্যু:

প্রাথমিক তদন্তে সৃঞ্জয় আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এদিন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের বাইরে রিঙ্কু থাকলেও, তিনি গাড়ি থেকে নমেননি। তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজও শুরু হচ্ছে। ফোনটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানার চেষ্টা হচ্ছে তিনি শেষ কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *