ইসরাইলে গত ৭ অক্টোবর হামলার সময় হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য সশস্ত্র দলগুলো ‘সামারি কিলিং’ (যখন একজন ব্যক্তিকে একটি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয় এবং ন্যায্য বিচার ছাড়াই অবিলম্বে হত্যা করা হয়), যৌন সহিংসতাসহ মানবতার বিরুদ্ধে অসংখ্য অপরাধ করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমন কথা।
ইসরাইলের উপর অক্টোবরের ওই আকস্মিক হামলার লক্ষ্য ছিল বেসামরিক লোকদের হত্যা করা এবং সর্বাধিক সংখ্যক ইসরাইলিকে বন্দি করা।
উল্লেখিত অপরাধের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত এবং নির্বিচারে হামলা, হেফাজতে বন্দিদের ইচ্ছাকৃত হত্যা, নিষ্ঠুর এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ, যৌন এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, জিম্মি করা, মৃতদেহকে বিকৃত করা এবং ধ্বংস করা, মানব ঢাল ব্যবহার এবং লুটপাট করা।
ইসরাইলে হামাসের হামলায় ৭ অক্টোবর ১১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৫০ জনকে বন্দি করা হয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে যে ১১৬ বন্দি এখনও গাজায় রয়েছে। তবে কমপক্ষে ৪২ জন মারা গেছেন।
তবে হামাস হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছে এবং একে মিথ্যা ও পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছে।
১৪৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার এবং ছবি ও ভিডিও ডকুমেন্টেশনের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হামাসের সামরিক শাখা, কাসেম ব্রিগেড এবং অন্তত চারটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী যারা হামলায় অংশ নিয়েছে তারা অসংখ্য যুদ্ধাপরাধ এবং বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে।
এইচআরডব্লিউ’র সহযোগী পরিচালক বেলকিস উইল বলেন, সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যাটা বলা আমাদের পক্ষে অসম্ভব, কিন্তু সেদিন স্পষ্টতই শত শত এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।