মায়ের প্রেমিকের সাথে প্রেম করতে শুরু করেন মেয়ে,পথের কাঁটা সদ্য বিয়ে করা স্বামী।বিয়ের একমাসের মধ্যে নতুন বরকে সরিয়ে দিল নববধূ।১৮ মে ২৬ বছরের তেজেস্বর পছন্দ করে বিয়ে করেছিল বছর ২৩ এর ঐশ্বর্যকে।সম্বন্ধ দেখার সময়ই বেশ ভালো লেগেছিল ঐশ্বর্যকে।তবে দেখাশোনা হওয়ার পর ঐশ্বর্য পালিয়ে যায়।আবার কিছু দিন পরে ফিরে আসে।তাও ঐশ্বর্য ভুল করেছে বলে ক্ষমা করে দেন তেজেস্বর।বাড়ির অমতেই ঐশ্বর্যকে বিয়ে করেন তিনি।এইদিকে ঐশ্বর্যের মা একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন,সেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সাথে প্রেম করত ঐশ্বর্য। এমনকি তারা বহুবার শারিরীক সম্পর্কও করেন।বিয়ের দিনও ঐশ্বর্য বহুবার ম্যানেজার তিরুমলের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।এমনকি ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সাথে প্রেম করত মাও।
জানা যায়,ঐশ্বর্য তিরুমলের জন্য পাগল ছিলেন,তারা ছক কষে তেজেস্বরকে রাস্তা থেকে সরানোর।তিরুমল ২০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিল,আর তার টাকা নেওয়ার জন্য তিন কর্মী তার কাছে আসে,তাদেরকেই ২ লক্ষ টাকা দেন তেজেস্বরকে খুন করার জন্য।পুলিশের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জমি দেখার ছলে তেজেস্বরকে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন তেজেস্বর। সেখানে বসা অবস্থাতেই আততায়ীরা তাঁর গলা কেটে দেয় এবং পেটে ছুরি মারে। এরপর তিরুমলকে ফোন করে তেজেস্বরের দেহ দেখানো হয় এবং তারপর খালে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় তেজেস্বরের দেহ।
জমি জরিপের কাজ করতেন তেজেস্বর। তার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী। ঐশ্বর্য ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, তিরুমল ধরেই নিয়েছিলেন যে তেজেস্বরের দেহ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাও পালানোর একটা ছক আগে থেকেই তৈরি ছিল তাঁর। তিরুমল এবং ঐশ্বর্যর জন্য লাদাখের টিকিটও কেটে রেখেছিলেন, পালাবেন বলে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, তিরুমলের নিজের স্ত্রীকে শেষ করার পরিকল্পনাও ছিল। ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। তবে কোনও সন্তান হয়নি। ঐশ্বর্যর মা সুজাতার সঙ্গেই আগে সম্পর্ক ছিল তিরুমলের। তাঁর ব্যাঙ্কে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন সুজাতা। তবে মায়ের অবর্তমানে মেয়ে সেই জায়গা নেয়। ঐশ্বর্যর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তিরুমলের। তবে সুজাতার এই সম্পর্কে মত ছিল না। তিনি মেয়েকে তেজেস্বরকে বিয়ে করার কথা বলেন। তেজেস্বরের সঙ্গে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ে ঠিক হয় ঐশ্বর্য। কিন্তু পালিয়ে যান তিনি। তার পর আবার ফিরে আসেন।