প্রায় ১১ সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর এক মাস আগে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল। গত চার সপ্তাহে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে মানবিক সহায়তা চাইতে গিয়ে কমপক্ষে ৫৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এরইমধ্যে মার্কিন খাদ্য সহায়তায় ‘অক্সিকোডন’ নামের মাদক পাওয়ার দাবি করেছে গাজা প্রশাসন।
মিডল ইস্ট আই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৭ জুন) গাজার সরকার দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত কিছু সাহায্য কেন্দ্রে বিতরণকৃত ময়দার বস্তায় পাওয়া গেছে ‘অক্সিকোডন’ নামের নিষিদ্ধ ওষুধ। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে এসব নেশাদ্রব্য সরবরাহ করা হয়েছে। যা সরাসরি জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
বিবৃতিতে গাজা সরকার জানায়, আমরা এখন পর্যন্ত চারজন ব্যক্তির সাক্ষ্য নথিভুক্ত করেছি। যারা ময়দার ব্যাগের ভেতরে এই মাদক খুঁজে পেয়েছেন। তাদের ধারণা এই মাদকগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ময়দার বস্তায় দেয়া হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এখন ‘প্রাণঘাতী’ হয়ে উঠেছে। তার দাবি, খাবারের জন্য বের হওয়াটাই যেন মৃত্যুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির পরে ইরান-ইসরাইল আলোচনার যে আশা তৈরি হয়েছে, তা যেন গাজার জন্যও কাজে লাগে। এই মুহূর্তে আশাই সবচেয়ে প্রয়োজন, বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস।

অন্যদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর সম্ভব বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি মনে করি গাজায় এখন একটি যুদ্ধবিরতি খুব কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, এ সংঘাত বন্ধের চেষ্টায় জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।