মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত জীবনে কি ঝড় বয়ে চলেছে?

Spread the love

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে ফের নতুন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সাংবাদিক ও লেখক মাইকেল উলফ দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প আলাদা হয়ে গেছেন। নিজের বক্তব্য প্রমাণ করতে হোয়াইট হাউজ থেকে মেলানিয়ার দূরত্বের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া একসঙ্গে হোয়াইট হাউজে থাকতেন। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মেলানিয়া হোয়াইট হাউডে বসবাস করতে আসেননি।

একটি পডকাস্টে কথা বলার সময় ট্রাম্প ও মেলানিয়ার সম্পর্ক নিয়ে উলফ আরও বলেন, ২০ জানুয়ারির পর থেকে মেলানিয়া হোয়াইট হাউজে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময় কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে যা প্রতিবেদন রয়েছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে, তাঁরা দাম্পত্যে নেই। আমরা বিয়েকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করি সেভাবে তো তাঁরা সম্পর্কে নেই। এবার এটাকে যদি আমরা অন্যভাবে বলি- তাঁরা উভয়ই আলাদা জীবন যাপন করে। তাঁরা আলাদা হয়ে গেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি আলাদা হয়ে গেছেন।’

উলফের এই দাবির পরিপ্রক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাম্পত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হোয়াইট হাউজের তথ্য পরিচালক স্টিভেন চেউং এক সাক্ষাৎকারে উলফের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তাঁকে ‘বোকা ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করেন। স্টিভেন দাবি করেন, উলফের সব অভিযোগই ‘নির্জলা মিথ্যা ও বানানো গল্প’। তাঁর দাবি, এই ‘আলাদা হয়ে যাওয়ার অভিযোগ’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চরম ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘তিনি একজন উচ্চ মানের মূর্খ এবং তাঁর ট্রাম্প ডিটারজেন্ট মন তাঁকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতে বাধ্য করেছে।’ উল্লেখ্য, ট্রাম্প সম্পর্কে এরই মধ্যে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন উলফ। ট্রাম্পকে নিয়ে বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি, যা ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউজও লিখেছিলেন তিনি, যা বেস্ট সেলার ছিল।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে উলফের মন্তব্যের কয়েকদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমসও মেলানিয়া ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই মেলানিয়া ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি আর হোয়াইট হাউজে ফিরবেন না, তবে তিনি তাঁর বেশিরভাগ সময় ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে কাটাচ্ছেন। যেখানে তাঁর ছেলে ব্যারন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *