মার্কিন প্রেসিডেন্টের রক্তচক্ষুতে ১২ দেশের নাগরিকেরা

Spread the love

ইজরায়েলি সমাবেশে হামলার জেরে আফগানিস্তান-সহ বিশ্বের ১২টি দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।ফলে এই দেশগুলির নাগরিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারবেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প অনেক দেশের নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তবে পরে তা তুলে নেওয়া হয়। নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ফের অনেক দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।দেশের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। 

বুধবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ডজন দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো, নিরক্ষীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। পাশাপাশি বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা থেকে আগত ব্যক্তিদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের অপর্যাপ্ত স্ক্রিনিং, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্ক বা মার্কিন অভিবাসন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সহযোগিতার অভাবের কারণে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই সমস্ত দেশের ক্ষেত্রেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আফগানিস্তান এখন পুরোপুরি তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে। তা ছাড়া ইরান এবং কিউবা সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর জনগণের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে।’ট্রাম্প তাঁর বিবৃতিতে বলেন যে, ‘মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং আমার নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করব, যাকে কেউ কেউ ‘ট্রাম্প ট্রাভেল ব্যান’ বলে অভিহিত করে, যাতে উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসীদের দেশে প্রবেশ রোধ করা যায়। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা সুপ্রিম কোর্টও সমর্থন করেছে।’

গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি আদেশপত্র জারি করেছিলেন, যেখানে রাজ্য ও স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব’ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে এবং নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে আসা লোকেরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে কিনা তা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল। এই প্রতিবেদনের পর, ১২টি দেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং ৭টি দেশের উপর কঠোর নিয়ম আরোপ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *