মা আমি চুরি করি নি।বিশ্বাস করো আমি চুরি করিনি মা।হ্যাঁ ঠিক এই কথাটি চিরকুটে লিখে গেছে ছোট্ট ছেলেটি।বারবার লেখা দেখে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে মা।ঘটনার সূত্রপাত, রবিবার সকালে।সপ্তম শ্রেণির কৃষ্ণেন্দু বাজারে চিপস কিনতে গিয়েছিল।কিন্তু সেইসময় দোকানে বিক্রেতা ছিলেন না।বিক্রেতা আবার সিভিক ভলেন্টিয়ার।দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বাচ্চা ছেলেটি বহুবার হাঁক দেয়,কিন্তু কেউ সাড়া দেয়নি।এরপর কিশোর দোকানের বাইরেই একটা ঝুড়িতে কুড়কুড়ের প্যাকেট রয়েছে দেখে কৃষ্ণেন্দু সেই প্যাকেট কুড়িয়ে নেয়। বাড়ি ফেরার সময় দোকানের মালিক শুভঙ্কর দীক্ষিত বাইক নিয়ে নাবালককে ধাওয়া করে। কিছুক্ষণ পর কৃষ্ণেন্দুকে নাগালে পেয়ে তাকে চুরির অপবাদ দেয়।অভিযোগ,বাচ্চা ছেলেটিকে মারধর করেন ও রাস্তার মাঝে কান ধরে উঠবস করায়।এরপর কৃষ্ণেন্দু দাসের মা কুড়কুড়ে দাম ৫ টাকা দিয়ে দেন,তারপরও ওই দোকানদার হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। নাবালকের মা রাগের বশে ছেলেকে শাসন করেন ও কৃষ্ণেন্দুকে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন। ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারে।

এই ঘটনার পরই সপ্তম শ্রেণির নাবালক নোটে লেখে,মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়াটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম চুরি করিনি।এরপরই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় ছোট ছেলেটি। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। এই ঘটনায় মানুষরূপী ওই পিশাচ দোকানদারের কি শাস্তি হওয়া উচিত আপনারাই বলুন।।