মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জগন্নাথধাম থেকে এল ২ লক্ষ প্যাকেট প্রসাদ

Spread the love

অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। বাংলার সব মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে জগন্নাথধামের প্রসাদ। সঙ্গে যাবে ছবিও। একইসঙ্গে প্রসাদ যাবে ভারতের বিখ্যাত মানুষদের গৃহেও। দিঘা থেকেই মন্দির উদ্বোধনের সময় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। তার মধ্যেই প্রসাদ ও জগন্নাথ দেবের ছবি নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেলেন কাউন্সিলর। দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তার পর পাঁচ মিনিটের জন্য মন্দিরের দরজা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আর আজ প্রসাদ বিলির ছবিই দেখা গেল রাজারহাট–গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।

আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জগন্নাথ দেবের মূর্তি হাতে নিয়ে প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে প্রসাদ বিতরণ করলেন বিধাননগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রনাথ বাগুই। ইতিমধ্যেই দিঘার জগন্নাথধাম থেকে ২ লক্ষ প্যাকেট প্রসাদ এসে পৌঁছেছে রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বলে সূত্রের খবর। যা এখন বিলি হচ্ছে। মন্দিরে ঢোকার আগে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেটাই আজ দেখা গেল। তিনি জানিয়েছিলেন, বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ ও ছবি। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে এই দায়িত্ব দেন তিনি। এবার সেই মতো কাজ হল। বাড়িতে প্রসাদ পেয়ে সকলেই খুশি।

যে কথা গতকাল বাংলার মানুষ শুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে সেই কাজ এত দ্রুত হল দেখে আপ্লুত সকলেই। ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) গতকাল বলেছিলেন, ‘‌আমি মনে করি, এই মন্দির আগামী হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান এবং পর্যটনস্থল হিসাবে উন্মাদনার প্লাবন তৈরি করবে। এই মন্দির সকলের জন্য। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, সবারে করি আহ্বান। সমস্ত ধর্ম বর্ণের মানুষ এসেছেন এখানে। প্রত্যেকেই আমাদের অতিথি। ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার জিনিস। মন্দির চত্বরে ৫০০ গাছ লাগানো হয়েছে। আগামীদিন সবার বাড়িতে ছবি ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’‌

তখন শুনে সকলেই অবাক হয়েছিলেন। আর আজকে প্রসাদ হাতে পেয়ে অবাক হলেন মানুষজন। আজ থেকেই জগন্নাথদেবের প্রসাদ নিজ হাতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করলেন এলাকার কাউন্সিলর। তাঁর এলাকা পেরিয়েও আশপাশের পৌরসভা, পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেও প্রসাদ বিতরণ করা হবে বলে জানান ইন্দ্রনাথ বাগুই। তিনি বলেন, ‘‌আজ বাড়িতে বাড়িতে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ পৌঁছে দিচ্ছি। গতকালই নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করতে। আজ থেকেই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। রাজারহাট–গোপালপুরের সবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রসাদের মধ্যে মূলত খাজাই রয়েছে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *