বঙ্গে ভোটের মরশুম ঘনিয়ে আসতেই তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বাতাবরণ। তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, বাম থেকে বিজেপি সব দলেরই প্রস্তুতি এখন চরমে। তবে এবার সবচেয়ে বড় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি শিবির। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাকে সামনে আনবে গেরুয়া শিবির এই নিয়েই জোর জল্পনা। এতদিন পর্যন্ত ধারণা ছিল, শুভেন্দু অধিকারীই বিজেপির মুখ হতে চলেছেন। কিন্তু সোমবারের পর বদলে গেল সমীকরণ। বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়ায় নতুন করে আলোড়ন ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
মালদহের সাহাপুরের এক বেসরকারি হোটেলে আয়োজিত বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীসহ দলের একাধিক শীর্ষনেতা। সেখানেই হঠাৎই কয়েকজন বিজেপি কর্মী সরাসরি প্রস্তাব দেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য। প্রস্তাব শুনে মিঠুনের প্রতিক্রিয়া ছিল সংযত, কিন্তু তা আরও বেশি জল্পনা উস্কে দিয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, পার্টিতে এইসব হয় না। সবাই লড়ে, এরপর দল যাকে বলবে, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাঁর এই বক্তব্য কি নিছক নম্রতা, নাকি আসলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি নিজের সম্ভাব্য ভূমিকার দিকে?
মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরে নতুন করে জল্পনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, শুভেন্দু অধিকারীকে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। ২০২১-এর পর থেকে যেভাবে শুভেন্দু রাজ্যজুড়ে বিজেপির মুখ হয়ে উঠেছেন, তাতে দলের একাংশ এখনও তাঁকেই সবচেয়ে যোগ্য বিকল্প মনে করেন। কিন্তু দলের অন্য অংশে জনপ্রিয় মুখ হিসেবে মিঠুনের উপস্থিতি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিশেষ করে সংগঠনের বাইরের সাধারণ ভোটারদের কাছে। এর আগেও এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, এতগুলো রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, কোথাও কি আগে থেকে কাউকে মুখ করা হয়েছে? কিন্তু এখন মিঠুনের মন্তব্যে আবারও তোলপাড় রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
