ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পর থেকেই ক্রমাগত সক্রিয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বারবার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব নিচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা পরমাণু যুদ্ধ ঠেকিয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করছেন। এই সবের মধ্যেই জানা যায় যে ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাথে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এবং ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে ট্রাম্প-মুনিরের এই মধ্যাহ্নভোজ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্য কোনও দেশের নেতার সঙ্গে দেখা করলে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির মাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন রিয়েল টাইমে। তবে তাঁর কোনও অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেই এখনও মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের ছবি প্রকাশ করেননি ট্রাম্প।এই বিষয়টিকে নাকি আবার পাকিস্তানের ‘অপমান’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বৈঠকের পর পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মুনিরের সাক্ষাতের ছবি প্রকাশিত করতে পারেনি তারাও।
এদিকে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, সেনাপ্রধান মুনির ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। দ্য এক্স-এ এক পোস্টে আসিফ বলেন, ‘এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানালেন এবং তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।’ ট্রাম্প-মুনির বৈঠককে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৭৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বর্ণনা করে আসিফ বলেন, এটি বর্তমান ‘হাইব্রিড মডেলের’ সাফল্য, যাতে একটি নির্বাচিত সরকার ও সেনাবাহিনী জড়িত থাকবে।

এদিকে খাজা আসিফ যাই বলুক, অনেক বিশ্লেষকের মতে, ট্রাম্প মুনিরকে ডেকেছিলেন কারণ পাকিস্তান সরকারের কারও সাথে কথা বলে যে কাজের কাজ হবে না, তা তিনি জানেন। কারণ পাক সরকার আদতে সেনার কাঠপুতুল। এই আবহে ট্রাম্প সরাসরি আসিম মুনিরকে ডেকে কথা বলায় ঘুরিয়ে পাকিস্তানি সরকারকে অপমান করা হয়েছে বলে মত অনেকের।