মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের লোকেরা দেখিয়ে-দেখিয়ে ঘর জ্বালিয়েছে

Spread the love

মুর্শিদাবাদ এবং মালদা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, মুর্শিদাবাদ এবং মালদায় যা ঘটেছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নির্মমতার চরম উদাহরণ। তৃণমূলের নেতা-বিধায়করাই চিহ্নিত করে সাধারণ মানুষের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন। আর পুলিশ স্রেফ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে বলে অভিযোগ করেন মোদী। যদিও সেই আক্রমণের পালটা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারে মোদীর জনসভার কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা অভিযোগ করেন, মালদা এবং মুর্শিদাবাদের হিংসা ছড়িয়েছে বিজেপিই। তাঁর কথায়, ‘মালদা এবং মুর্শিদাবাদের ঘটনা তো বিজেপি করিয়েছে। বাংলা নির্মম নয়, বাংলা হচ্ছে মানবিক সরকার। মোদীর সরকার হচ্ছে একটা জুমলা সরকার।’

‘তোষামদের নামে গুন্ডাদের ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে’, তোপ মোদীর

মোদী অবশ্য মুর্শিদাবাদ এবং মালদার হিংসার ঘটনার যাবতীয় দায় মমতা সরকারের উপরে চাপিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে যা হয়েছে, মালদায় যা হয়েছে, তা এখানকার সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। হিংসায় গরিব মা-বোনেদের সারাজীবনের পুঁজি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তোষামদের নামে গুন্ডাদের ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘যখন সরকার চালানো দলের (তৃণমূল কংগ্রেস) লোক, বিধায়কই সাধারণ মানুষের বাড়ি চিহ্নিত করে জ্বালিয়ে দেন, আর পুলিশ দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে, তখন অনুমান করা যায় যে অবস্থা কতটা ভয়াবহ।’

নিজেরা পাপ করে তৃণমূল দোষী ঠাওরাচ্ছে আদালতকে, তোপ মোদীর

সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী। মোদীর দাবি, শুধু হাজার-হাজার শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করেনি তৃণমূল সরকার। লাখ-লাখ শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।

মোদীর কথায়, ‘তৃণমূলের দুর্নীতিবাজরা বহু গরিব পরিবারের সন্তানদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এটা শুধু কয়েক হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা নয়, পশ্চিমবঙ্গের গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। শিক্ষকের অভাবে লাখ-লাখ শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। এত বড় পাপ তৃণমূলের নেতারা করেছেন। আজও ওঁরা নিজেদের ভুল স্বীকার করতে রাজি নন। উলটে দেশের আদালতকে দোষী বলে দেন।’

বাংলার ‘৫ সংকটের’ তালিকা পেশ মোদীর

১) সমাজে ছড়ানো হিংসা এবং অরাজকতা।

২) মা ও বোনেদের সুরক্ষাহীনতা এবং তাঁদের উপরে ঘটে যাওয়া জঘন্য অপরাধ।

৩) যুবক-যুবতীদের মধ্যে চেপে বসা হতাশা এবং বেকারত্ব।

৪) দুর্নীতির দাপট এবং সরকারের উপর থেকে উঠে যাওয়া বিশ্বাস।

৫) গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া শাসক দলের স্বার্থান্বেষী রাজনীতি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *