মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তৎপরতায় পেলেন মুক্তি

Spread the love

ওড়িশায় আটকে পড়েছিলেন মুর্শিদাবাদের সাতজন পরিযায়ী শ্রমিক। অবশেষে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের উদ্যোগে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হল। শুক্রবার তাঁরা মুক্তি পান। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে শ্রমিকদের পরিবার।

জানা গিয়েছে, বেলডাঙা ও হরিহরপাড়ার ওই শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ওড়িশার খুরদা জেলার পাহলা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে ভুবনেশ্বরের নখরা এলাকায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) রাসপ্রীত সিং জানিয়েছেন, আটক শ্রমিকদের মধ্যে বেলডাঙার পাঁচজন এবং হরিহরপাড়ার দুইজন রয়েছেন। তাঁদের পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় নথি পাঠিয়ে জেলা পুলিশ উদ্ধার করেছে। জানা যায়, হরিহরপাড়ার বাসিন্দা সামিউল শেখ সম্প্রতি কাজের জন্য ভুবনেশ্বর গিয়েছিলেন। সোমবার রাতে কাজের জায়গা থেকেই তাঁকে এবং আরও কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, পরিচয়পত্র দেখালেও শুনতে চায়নি তারা। একেবারে থানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়।

মোট ৯ জনকে আটক করে জেরা করা হয়েছিল। পরে মুর্শিদাবাদের নওদার দুইজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাকি সাতজন ছাড়া পাননি। সেই খবর পৌঁছায় পরিবারের কাছে। তারা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরেই শুরু হয় তৎপরতা।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্তা করা হয়েছে। এক শ্রমিকের স্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র বাংলা বলার জন্য তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়। পরিচয়পত্র দেখিয়েও পুলিশের হয়রানি বন্ধ হয়নি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার তাঁরা বেলডাঙা থানার কাছে যান সাহায্য চেয়ে। এরপরেই শুক্রবার তাঁর স্বামী সহ বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা পুলিশকে এজন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।

এই ঘটনায় হরিহরপাড়ার এক সমাজকর্মী জানান, বিষয়টি রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামকে জানানো হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেন। জেলা পুলিশও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। সব মিলিয়ে সবার সম্মিলিত উদ্যোগে ওড়িশায় আটক থাকা সাতজন শ্রমিকই অবশেষে মুক্তি পেলেন। তাঁরা বাড়ি ফিরছেন বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *