বর্তমান সময়ে কাজ নিয়ে যতটা না চর্চায় থাকেন সোনাক্ষি সিনহা, তাঁর থেকে বেশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। বিশেষ করে জাহির ইকবালকে বিয়ে করার পর। লম্বা সময় প্রেম করার পর, ভিনধর্মের ছেলেকে বিয়ে করে, প্রবল রোষের মুখে পড়তে হয় শত্রুঘ্ন-কন্যাকে। অনলাইন ট্রোলও সেইসময় মাত্রা ছাড়িয়েছিল। এমনকী, শোনা যায় বাড়ির মেয়ে একটি মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করছেন তা মানতে পারেননি খোদ শত্রুঘ্ন আর দুই দাদা লব ও কুশ।
তবে এসব ট্রোলে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, বিয়ের পরের জীবনটা চুটিয়ে উপভোগ করছেন সোনাক্ষি সিনহা। ভক্তরা জেনে আরও খুশি হবেন যে সোনাক্ষির শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কও খুব দৃঢ় এবং সুন্দর। বিয়ের পরে একটি সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষি জানিয়েছিলেন যে, তিনিই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, অন্য দিকে বর জহির তাঁকে আলাদা থাকার বিকল্প দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি হর্ষ লিম্বাচিয়ার ইউটিউব চ্যানেল ভারতী টিভিতে এক কথোপকথনের সময় সোনাক্ষি বলেছিলেন যে, তিনি জহিরের পরিবারের সঙ্গে থাকেন এবং তাদের সঙ্গেই ছুটি কাটাতে যান। তিনি বলেছিলেন যে, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত একটি পরিবার এবং একসঙ্গে প্রচুর মজা করেন। সোনাক্ষী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা একসঙ্গে ছুটিতে যাই। ওরা সবাই খুব মজাদার, এবং অনেক মজা করে। খুব ঘনিষ্ঠ একটি পরিবার।’
দাবাং নায়িকা আরও বলেছিলেন যে, বিয়ের আগে জহির তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি আলাদা বাড়িতে থাকতে চান কি না! সোনাক্ষীর কথায়, ‘জহির বিয়ের আগে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে আমি আমার শ্বশুরবাড়ির লোকদের থেকে আলাদা থাকতে চাই কি না, কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। আমি তাদের বলেছিলাম, ‘আমি ওদের সঙ্গেই থাকব, যদি তোমাকে যেতে হয় তবে তুমি যাও’।’

সোনাক্ষি আরও বলেন, ‘আমি একেবারেই রান্না করতে পারি না। আমার মা খুব ভাল রান্না করেন এবং তার একমাত্র উদ্বেগ হল তাঁর মেয়ে রান্না করতে জানে না। আমার শাশুড়িও রান্না করতে জানেন না এবং তিনি বলেন, ‘আপনি তো সবে বাড়িতে এলেন।’ আমি আসলে খেতে ভালোবাসি, কিন্তু রান্না করতে পছন্দ করি না।’
সোনাক্ষি সিনহাকে শীঘ্রই সুধীর বাবু এবং শিল্পা শিরোদকরের সঙ্গে আসন্ন অতিপ্রাকৃত থ্রিলার ‘জাতধারা’-তে দেখা যাবে। ছবিটি ২০২৫ সালেক ৭ নভেম্বর তেলুগু এবং হিন্দি উভয় ভাষাতেই মুক্তি পাবে। এই ছবির মাধ্যমে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করছেন সোনাক্ষি সিনহা।