মেক মাই ট্রিপের চিনা যোগ নিয়ে বিস্ফোরক ইজ মাই ট্রিপ প্রতিষ্ঠাতা

Spread the love

মেক মাই ট্রিপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ইজ মাই ট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিশান্ত পিট্টির। তাঁর দাবি, মক মাই ট্রিপের সরাসরি যোগ রয়েছে চিনের সঙ্গে। এই আবহে সেনা কর্তারা মেক মাই ট্রিপ অ্যাপ ব্যবহার করে যখন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার টিকিট কাটেন, তা দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্যে উদ্বেগের বলে দাবি কেন নিশান্ত। উল্লেখ্য, নিশান্ত সম্প্রতি এই একই অভিযোগ এনেছিলেন এমএমটি-র বিরুদ্ধে। সেই সময় এই ভ্রমণ অ্যাপের তরফ থেকে বপালটা দাবি করা হয়েছিল, নিশান্ত ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই অভিযোগ করছেন’।

এই আবহে নয়া এক পোস্টে নিশান্ত লেখেন, ‘মেক মাই ট্রিপ আমার অভিযোগ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিতে পারে। তবে যেখানে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িয়ে আছে, সেখানে চুপ করে থাকা যায় না। মেক মাই ট্রিপের বোর্ডের আর্ধেক সদস্যেরই চিনের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে। ট্রিপ ডট কম নামক চিনা সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ সব নিয়োগ করে মেক মাই ট্রিপে। বন্ধ দরজার পিছনে যাদের হাতে নিয়ন্ত্রণ আছে: সংস্থার ৪টি গুরুত্বপূর্ণ বন্ড কমিটির ৩টিরই মাথায় আছেন চিন-যোগ থাকা ব্য়ক্তি। এখানে কসমেটিক বদল এনে কোনও লাভ নেই: ২০২৫ সালের ১৪ মে নয়া ডিরেক্টর নিয়োগ করা হয়েছে। তবে তাতে খুব সামান্যই বদল এসে থাকতে পারে। একটি বোর্ড রিশাফলে এই গভীর চিন যোগের কঠামো বদলাতে পারে না।’ 

এর আগে গত ১৪ মে নিশান্ত একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘আমাদের সেনা সদস্যরা ডিসকাউন্টে টিকিট কাটতে এমন এক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন যার অধিকাংশ অংশিদারিত্ব চিনের। সেখানে আমাদের সেনা সদস্যরা তাদের ডিফেন্স আইডি দিচ্ছেন, রুট, তারিখ দিচ্ছেন। শত্রুরা আগেভাগেই জেনে যাচ্ছেন যে আমাদের সেনা কোথাও উড়ে যাচ্ছেন।’ এই অভিযোগের জবাবে, মেক মাই ট্রিপ নিজেদের মালিকানা এবং গ্রাহকের ডেটা ভাগ করে নেওয়ার ইস্যুতে ওঠা দাবি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছিল। তারা জোর দিয়ে বলেছিল যে মেক মাই ট্রিপ একটি গর্বিত ভারতীয় সংস্থা। সংস্থাটি ভারতে প্রতিষ্ঠিত এবং এর সদর দফতরও ভারতে। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ভ্রমণকারীদের বিশ্বস্ত সঙ্গী তারা। মেক মাই ট্রিপ আরও বলেছিল, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দূষত অভিযোগের বিষয়ে আমরা মন্তব্য করি না। একটি দায়িত্বশীল ভারতীয় কর্পোরেট হিসাবে গ্রাহকদের সর্বোত্তম পরিষেবা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *