মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার কোন সম্পর্ক নেই। একটি নতুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। মঙ্গলবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারবিহীন (ওয়্যারলেস) এই প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে কিন্তু সে হারে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়েনি। মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও প্রকাশিত পর্যালোচনায় এই চিত্রই দেখা গেছে।
এই তথ্য এমন লোকেদের বেলায়ও প্রযোজ্য যারা দীর্ঘদিন ধরে ফোন ব্যবহার করছেন। এমনকি যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে ১৯৯৪-২০২২ সালের মধ্যে ৬৩ টি গবেষণা চালানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বিকিরণ সুরক্ষা কর্তৃপক্ষসহ ১০টি দেশের মোট ১১ জন গবেষণাকারীর করা মূল্যায়নের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মোবাইল ফোনের পাশাপাশি টিভি, বেবি মনিটর এবং রাডারে ব্যবহৃত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করে এই পর্যালোচনা দেয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার মহামারীবিদ্যার অধ্যাপক ও পর্যালোচনাটির কো- অথর মার্ক এলউড বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার কোন যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।’
পর্যালোচনাটি প্রাপ্তবয়স্কদের এবং শিশুদের মস্তিষ্কের ক্যান্সারের পাশাপাশি পিটুইটারি গ্রন্থি, লালা গ্রন্থি এবং লিউকেমিয়াসের ক্যান্সারের ঝুঁকি ও এর সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সম্পর্কের ওপর করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো আগে বলেছিল মোবাইল ফোন ব্যবহারে এর বিকিরণ থেকে স্বাস্থ্যের নেতিবাচক প্রভাবের কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই। তবে তখন এ বিষয়ে আরও গবেষণার আহ্বান জানিয়েছিল তারা।