মোহনবাগানের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা টুটু বসুর

Spread the love

মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও, তার দামামা বেজে গিয়েছে। যদি বিশেষ কোনও মহল থেকে নির্দেশ না আসে, তা হলে মোহনবাগান নির্বাচনে যুযুধান হতে চলেছে দুই গোষ্ঠী। একদিকে সচিব দেবাশিস দত্তর নেতৃত্বাধীন বর্তমান শাসক গোষ্ঠী। অন্যদিকে রয়েছে, মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর নেতৃত্বে আসরে নামছে বিরোধী গোষ্ঠী। যদিও নিজেদের ‘বিরোধী’ বলতে নারাজ বসু পরিবারের বড় ছেলে। এই শিবিরের বক্তব্য, ‘আমরা সবাই মোহনবাগান।’

উত্তাপ যে বাড়ছে, তার আঁচ ময়দানে পা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে। এর মাঝেই মোহনবাগানের নির্বাচনী আগুনে ঘি যোগ করলেন সবুজ-মেরুনের সভাপতি স্বপনসাধন বসু, ময়দানে যিনি টুটু বসু নামেই বেশি পরিচিত। সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিজের পদত্যাগপত্র ক্লাবে পাঠিয়ে দিয়েছেন টুটু বসু। নির্বাচনের ঠিক আগে টুটু বসুর পদত্যাগ করাটা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন ছেলে সৃঞ্জয় বসু। যে কারণে নৈতিকতার প্রশ্ন সামনে এনেই সরে দাঁড়ালেন টুটু বসু।

ক্লাব সচিব ও কার্যকরী সমিতির সদস্যদের পাঠানো চিঠিতে পদত্যাগের কথা জানান তিনি। টুটু তাঁর পদত্যাগ পত্রে পরিষ্কার লিখেছেন, ‘সভাপতির চেয়ার থেকে কোনও এক পক্ষের প্রচার করা উচিত নয়। চেয়ার কিংবা পদের অপব্যবহার কখনও কিছু আমি করিনি, এবারও করব না। তাই ঠিক করেছি, মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেব আমি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন। যাতে আমার মন যা বলছে, তা নির্দ্বিধায় আমি আমার প্রিয় সদস্যদের বলতে পারি।’

পদত্যাগ পত্রে টুটু এও লিখেছেন, ‘বহু বছর ধরে আমি মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে। মোহনবাগান ক্লাব আমার কাছে মাতৃসম। মোহনবাগান চিরকাল আমার হৃদয়ের বাঁদিকে ছিল, আছে, থাকবে। আমি এত দিন একনিষ্ঠ সেবায়েতের মতো ক্লাবের নিত্যপুজো করেছি। নিজের সাধ্যমতো, মোহনবাগানের সেবা-যত্ন করার চেষ্টা করেছি। আর কতটা করতে পেরেছি, সবচেয়ে ভালো জানেন আমার প্রিয় সদস্য-সমর্থকরা। যাঁদের কাছে আমি টুটুদা কিংবা শুধুই টুটু।’

মজার বিষয় হল, টুটু বসুর বড় ছেলে সৃঞ্জয় বসু যখন বাগান সচিব দেবাশিস দত্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছেন, তখন উল্টো স্রোতে হেঁটে ছোট ছেলে সৌমিক হসু ওরফে টুবলাই হাত মিলিয়েছেন দেবাশিস দত্তের। তিনি দাদা সৃঞ্জয়ের প্রতিপক্ষ শিবিরকেই সমর্থন করছেন। এই লড়াইয়ে দুই ছেলে যখন একে অপরের বিরোধী, তখন নিজেকে মোহনবাগান ক্লাব এবং নির্বাচনী লড়াই থেকেই দূরে সরিয়ে রাখতেই টুটুর এই পদক্ষেপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *