আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ম্যাক্রোঁর এ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে।সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তিনি সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন।
তিনি লেখেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। আমি এই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এটি ঘোষণা করব।’
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই পদক্ষেপ ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করবে’।
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ ‘বেপরোয়া’।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, শান্তি সম্ভব এটি দেখানোর জন্য তার এবং অন্যদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং ‘আজকের দিনে জরুরি অগ্রাধিকার’ হলো যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং গাজার জনগণের জন্য স্বস্তি আনা।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ১৪২টি দেশ বর্তমানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় অথবা স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি শক্তিশালী দেশ তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি।

বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দোহায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ওয়াশিংটন হামাসকে ‘সৎ বিশ্বাসে কাজ না করার’ অভিযোগ করেছেন। তবে হামাস বলেছে, তারা এই অভিযোগে অবাক হয়েছে।
এদিকে, গাজার মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (উনআরডব্লিউএ) সতর্ক করে বলেছে, গাজা শহরের প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে।