যিশুর ‘পরকিয়া চর্চা’ ফের তুঙ্গে

Spread the love

২০২৪ সালে প্রথম সামনে আসে যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মার বিবাহবিচ্ছেদের খবর। শোনা গিয়েছিল, নিজের আপ্ত সহায়কের সঙ্গেই নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এর ফলেই পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব এসেছে যিশুর। এমনকী, অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ নেই আর তাঁর দুই মেয়ে সারা-জারারও।

রবিবার থেকে ক্রমাগত ইঙ্গিতবাহি পোস্ট আসছে নীলাঞ্জনা শর্মার সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে বারংবার তিনি নিজেকে ‘সিঙ্গেল মাদার’ বলে দাবি করেছেন। এখানেই শেষ নয়, স্পষ্ট লেখা রয়েছে পরিবার বলতে এখন তিনি আর তাঁর দুই মেয়ে।

নীলাঞ্জনা সোমবার একটি পোস্টে লেখেন, ‘অনেকসময় পারফেক্ট ফ্যামিলি বলতে বোঝায় মা আর তাঁর বাচ্চারা’। আর সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘পারফেক্টলি ইমপারফেক্ট ফ্যামিলি, নিনি, চিনি আর নিনি চিনি’স মাম্মা।’

বিয়ের পরপর মুম্বইয়ের সুপ্রতিষ্ঠিত কেরিয়ার ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছিলেন নীলাঞ্জনা। তখন যিশু টলিউডে রীতিমতো স্ট্রাগল করছেন। অভিনেতা-স্বামীর হাত শক্ত করে ধরেছিলেন নীলাঞ্জনা। বছর ২০-র বিবাহিত জীবনে পারফেক্ট কাপল হিসেবে ভালোবাসা পেতেন ভরে ভরে। যদিও বিগত কয়েকবছরে ব্যস্ততা বেড়েছে যিশুর। টলিপাড়ার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি হিন্দিতে শুধু নয়, দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রিতেও ছাপ ফেলেছেন। কিন্তু এই ব্যস্ততাই কি বাড়িয়েছে সংসারের সঙ্গে দূরত্ব? প্রশ্নের উত্তর অজানা, কারণ ডিভোর্সের কারণ নিয়ে মুখ খোলেননি কোনো পক্ষ। তবে বেশ কয়েকবার নীলাঞ্জনার ইনস্টাস্টোরি ইঙ্গিত করেছিল ‘প্রতারনা’ ‘বিশ্বাসভঙ্গ’, ‘ঠকানো’র দিকে।যিশু-ঘনিষ্ঠদের দাবি অভিনেতার বিরুদ্ধে ওঠা পরকীয়ার অভিযোগ মিথ্যা। তাঁরা অবার অন্য তথ্য খাড়া করেছেন। দাবি, নীলাঞ্জনার ‘খবরদারি’তে নাকি বেশ ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছিলেন যিশু। বেশ কয়েকবছর ধরেই বেড়েছিল দূরত্ব। নীলাঞ্জনা এক পডকাস্টে জানিয়েছিলেন, একসময় টলিউডের যাদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল, একসঙ্গে পার্টি করতেন, আজকাল (যিশুর সঙ্গে দূরত্ব আসার পর) তাঁরাই খোঁজ নেন না। যদিও নতুন করে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ের নামে খুলেছেন প্রোডাকশন হাউজ। যেখান থেকে বর্তমানে চলছে আনন্দী। আসছে দাদামণি নামে একটি সিরিয়ালও।

খবর ছিল আগেই যে, আইনি ভাবে ডিভোর্স প্রক্রিয়া শুরু করেছেন যিশু-নীলাঞ্জনা সেই ২০২৪-এই। তবে কি ডিভোর্স এখন ফাইনাল। তাই কি, বারংবার নিজেকে ‘সিঙ্গেল মাদার’ ঘোষণা নীলাঞ্জনার?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *