ইসরাইলের সর্বকালের সবচেয়ে বড় সামরিক হামলার পর, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছে ইরান। তবে রোববার নির্ধারিত আলোচনায় তারা যোগ দেবে কিনা তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানায় দেশটি।শনিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলা হয়, ‘অন্য পক্ষ (যুক্তরাষ্ট্র) এমনভাবে কাজ করেছে যা সংলাপকে অর্থহীন করে তুলেছে। কারণ আপনি একই সাথে ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়ে আবার আলোচনার দাবি করতে পারেন না।’
বাঘাইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলা হয়, ‘রোববারের আলোচনার বিষয়ে আমরা কী সিদ্ধান্ত নেব তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
বাঘাই বলেন, ইসরাইল হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে সফল হয়েছে। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাবি করেন, ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া ইসরাইলি আক্রমণ ঘটত না। ওয়াশিংটন এই আক্রমণে সমর্থন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ইরান এর আগে ইসরাইলের হামলায় যুক্তরাষ্টের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জানায়, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের আলোচনা করা ‘বুদ্ধিমানের মতো’ কাজ হবে।
রোববার মাস্কাটে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের পারমাণবিক আলোচনার ষষ্ঠ দফা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ইসরাইলি হামলার পর তা হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ভোরে ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এসব হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন।
এই হামলার জবাবে ইরান ইসরাইলজুড়ে শত শত ব্যালিস্টক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং ৮০ জন ইসরাইলি আহত হন। হামলার জেরে লাখ লাখ ইসরাইলি আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যান বলে জানা গেছে।