যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৪০টি অস্ত্রের চালান পেয়েছে ইসরাইল

Spread the love

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৪০টি বিমান ও জাহাজ বোঝাই অস্ত্রের চালান পেয়েছে। এসব বিমান ও জাহাজে পাঠানো হয়েছে টনকে টন সামরিক সরঞ্জাম। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বরাতে আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সহায়তার মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান চাপ, মানবিক সংকট আর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়াশিংটনের সমর্থনেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব।

এদিকে গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রাখার জন্য এতদিন ইসরাইলকে ছাড় দেয়া হলেও ধীরে ধীরে আওয়াজ তুলছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল। বিশ্লেষকদের মতে, শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দেখাদেখি ইউরোপের দেশগুলো নিশ্চুপ অবস্থান নেয়।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন মতে, পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে। ফ্রান্স ও কানাডাও সতর্ক করেছে ভবিষ্যত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা তেল আবিবের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, জোটটি ২৫ বছরের পুরানো এসোসিয়েশন চুক্তি পুণর্মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছে।

তবে ইসরাইলি সরকার এখনও নীতিগতভাবে অনড়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বাইরের চাপ তাদের যুদ্ধ থেকে বিরত রাখতে পারবে না। সিএনএনকে বিশ্লেষকরা জানান, ওয়াশিংটনের সমর্থন ছাড়া এতদূর এগোনো সম্ভব হতো না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজায় মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানালেও এখনো তেল আবিবের ওপর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।

সিএনএন-এর এমন প্রতিবেদনের মধ্যেই ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের যুক্তির পক্ষে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনাদোলু এজেন্সি। গাজায় আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরাইলে এসেছে ৯৪০টি অস্ত্রবাহী বিমান ও জাহাজ।

এসব চালানে ছিল মারাত্মক বিস্ফোরক, সাঁজোয়া যান, ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা সামগ্রীসহ ৯০ হাজার টনেরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার (২৭ মে) জানায়, এই সরঞ্জামগুলো যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছাতে শুরু করে।

মার্কিন গণমাধ্যমকে বিশ্লেষকরা জানান, ওয়াশিংটনের ওপর ভর করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। এমনকি জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে দায়ের হওয়া মামলাগুলোও কার্যত উপেক্ষা করছে ইসরাইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *