পহেলগাঁও হামলার পর থেকে দীর্ঘদিন পাক সেনা প্রধান অসিম মুনিরকে জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছিল না। তবে সম্প্রতি সীমান্তে গিয়ে নাকি পাক সেনা জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তব্য রেখে এসেছেন মুনির। আর শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দফতরে উচ্চপদস্থ সেনা কর্তাদের সঙ্গে বসে বৈঠক করেন মুনির। বৈঠকের পরে ভারতকে হুঁশিয়ারির সুরে পাক সেনা বলে, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সদা তৎপর তারা। তবে তাদের এই হুঁশিয়ারির নেপথ্যে যেন ভারতের ‘ভয়’ স্পষ্ট ছিল।
এদিকে ভারতীয় সেনা জানাল, ২ এবং ৩ মে’র মাঝের রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের পোস্টগুলি লক্ষ্য করে ফের গুলি চালিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যরা সুশৃঙ্খল ভাবে সেই হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে।জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তান এসএইচ-১৫ হাউইৎজার বসিয়েছে। এটি চিনা অস্ত্র। এদিকে খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে কিছু সেনা সদস্যকে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে মোতায়েন রাখা হয়েছে। সম্প্রতি তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার জবাবে ‘প্রতিক্রিয়ার ধরন, লক্ষ্য এবং সময়’ বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বাহিনীর। মোদীর এই বার্তার পরে আরও বেশি নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, একদিকে পাকিস্তান শান্তির আর্জি জানাচ্ছে, অপরদিকে তারা সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় এই সব কাণ্ডকারখানা করে বেড়াচ্ছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় পাক সেনার এক প্রাক্তন সদস্যের সরাসরি যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে পাকিস্তান নিজেদের মুখ বাঁচাতে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে সরব। তাদের বক্তব্য, ভারত নিজেই নাকি এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।

এহেন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান সরকার। এর জন্যে তাদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিভিন্ন দেশের আমলা-মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। অপরদিকে সন্ত্রাসীদের বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর মোতায়েন থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। চিন, তুরস্কের মতো দেশের সমর্থন পেয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতও ইজরায়েল, আমেরিকা, রাশিয়া, সহ বিশ্বের বিভিন্ন তাবড় তাবড় শক্তিশালী দেশের সমর্থন পেয়েছে।