টলিপাড়ার একাধিক তারকা এর আগে আঙুল তুলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। দাবি তুলেছেন যে, তাঁদের কেরিয়ার নষ্টের পিছনে হাত রয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রি’র। সেই তালিকায় রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মতো তারকারও। টলিপাড়ার অনেকে দাবি করেন, যিশুর কেরিয়ার নাকি একদম প্রথম দিকে দমিয়ে রাখেন প্রসেনজিৎই। যিশু নিজেও কি সেটাই মে করেন?
এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। যেখানে অভিনেতা স্পষ্ট করেন যে, ‘আমি আবারও বলছি, আই লাভ বুম্বাদা। কোনোদিন গান পয়েন্টে এসে আমায় বলেনি যে, তোকে এই রোলটাই করতে হবে। তোকে আমার ভাই হতে হবে। আমি নিজে সেই চরিত্রগুলো বেছে নিয়েছিলাম।’
এমনও নয় যে বুম্বাদা কেটে আমার পার্টগুলো ছোট করে দিয়েছিল। তাও হয়নি কোনোদিন। এটা লোকের বিশ্বাস। তাঁরা তাঁদের বিশ্বাস নিয়ে থাকুক। আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে থাকব। আই লাভ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। উনি এমন কিছু করেননি, যাতে আমার কেরিয়ার নষ্ট হতে পারে।’, স্পষ্ট করে দেন যিশু সেনগুপ্ত।
আমি যদি কিছু করতে না পারি, তাহলে তো অন্যের দোষ দিতে পারি না! আমাকে অনেকে এও বলেছে, বুম্বাদা তোকে উঠতে দেয়নি। তার মানে বুম্বাদা সেই পজিশনে যেতে পরেছে বলেই করেছে, আমি তো যেতেই পারিনি। তাহলে হয়তো আমিও পারতাম চারটে ছবি থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে দিতে। আমি তো পারিনি। যদি এরকম হয়েও থাকে, আমি ওকে তাও ক্রেডিট দেব। ও নিজেকে সেই জায়গায় নিয়ে গিয়েছে’, আরও বলেছিলেন যিশু সেই সাক্ষাৎকারে।বলিউডে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরপরই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন শ্রীলেখা। তাঁকে সেই সময় দাবি করতে শোনা গিয়েছিল, বুম্বাদাই সেসময় ইন্ডাস্ট্রি চালাতেন, তাঁর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি নায়িকার চরিত্র পাননি, কারণ প্রসেনজিতের সঙ্গে তখন ঋতুপর্ণার প্রেম।
প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে নিয়ে বোমা ফাটিয়েছিলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ও। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অপুর সংসারে এসে অভিষেক বলেছিলেন, ‘তোদের খুব প্রিয় ‘দাদা’ আর ‘দিদি’, টপ হিরো আর টপ হিরোইন, তারা দু’জন জোট বেঁধে আমাকে যে কত ছবি থেকে বাদ দিয়েছে… আমার সাইন করা ১২ থেকে ১৪ খানা ছবি থেকে বাদ দিয়েছে… নতুন ভাবা ছবি মিলিয়ে ২০-২২ খানা ছবি থেকে বাদ দিয়েছে।’তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই ক্ষোভের খবর আছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। মাত্র একবারই এই নিয়ে তিনি খোলেন মুখ। পালটা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এমন অভিযোগ আমিও শুনেছি। কারোর যদি সত্যিই ক্ষমতা থাকে, প্রতিভা থাকে, তাঁকে উঠতে না দেওয়া কি যায় আদৌ! মাঝখানে আমি যখন দেড়-দু’বছর কাজ করিনি, তখন তো অনেকের ছবিই হিট করেছিল।’
‘কেউ যদি সফল্য এনে দেয়, দর্শকের যদি কোনো হিরোর কাজ ভালো লাগে, হলে যদি লোক আসে, তাহলে সেই অভিনেতাকে বা তাঁর ছবিকে আটকানোর ক্ষমতা কি পৃথিবীতে কোনও মানুষের আছে? হয়তো একমাত্র ঈশ্বরের আছে। আমি কি হলের বাইরে দাঁড়িয়ে বলব, ওঁর ছবি দেখবেন না। আমি যতই চালনা করার চেষ্টা করি না কেন, আমার ৪টে ছবি যদি না চলে, তখন আরেক প্রতিভা সামনে আসতে বাধ্য।’, বলেছিলেন প্রসেনজিৎ।