রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি

Spread the love

রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে। এই কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাতে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। আর তাই এই কর্মসূচি করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। মামলাকারীর দাবি, একহাজার জনকে নিয়ে এই কর্মসূচি করতে চায় তাঁরা। যদিও এতজন নিয়ে এমন কর্মসূচির অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টও দেয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। রাজ্যে আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। আর নিষ্ক্রিয় রয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এই অভিযোগ তুলে সল্টলেকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে চায় বিজেপি।

এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একহাজার জন কর্মী–সমর্থক নিয়ে অবস্থান করার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। এই অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এমনকী মামলা দায়ের করার আবেদন পর্যন্ত জানানো হয়েছে। ওই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামীকাল ওই মামলার শুনানি। বিজেপি মুর্শিদাবাদ, ভাঙড় এবং নানা এলাকার ঘটনার কথা উল্লেখ করে অভিযোগ করেছে, বাংলায় হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে।

অন্যদিকে এই ঘটনাগুলির পরিপ্রক্ষিতেই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অফিস ঘেরাও করে তাঁদের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। তবে সেটায় পুলিশের অনুমতি মেলেনি বলেই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলে খবর। আগামীকাল মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কদিন আগে তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের সুতি, ধূলিয়ান, সামশেরগঞ্জ–সহ নানা এলাকা। বাড়ি ভাঙচুর, আগুন, লুঠপাঠ হয়েছিল। সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে জাফরাবাদে। ওখানে বাবা ছেলেকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া আজ সোমবার মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সব কিছু খতিয়ে দেখেছেন। এই হিংসা যে পরিকল্পিত সেটাও সবার সামনে তুলে ধরেন। আর কিছু তথ্য হাতে এলে সবটা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ, সমগ্র বাংলাতেই হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তাঁরা রাজ্য মানবিকতার কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করতে চান। কিন্তু তাতে পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আজ অন্য একটি কারণে কলকাতা হাইকোর্টে আসেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ জোর করে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পাল্টা পুলিশের দাবি, নিহতদের পরিবার যাঁরা কলকাতায় আছেন তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা থেকে নিখোঁজের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই মুর্শিদাবাদের পুলিশ এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *