মেঘালয়ে দম্পতি নিখোঁজ কাণ্ডে খুন হওয়া যুবক রাজা রঘুবংশীর ভাই বিপুল সোনমকে অভিযুক্ত হিসেবে মানতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘আমরা ওঁকে অভিযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করব না। যতক্ষণ না সোনম নিজে এই স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন, ততক্ষণ আমরা তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করব না। রাজা ও সোনম দুজনেই তাদের বিবাহে সুখী ছিলেন। দু’জনকে কখনও ঝগড়া করতে দেখিনি। পুলিশ এখনও আমার ভাইয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেয়নি।’
এদিকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে রাজার ভাই বলেন, ‘মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন যে পুলিশ এই মামলায় ২৪ ঘন্টা কাজ করছে, কিন্তু আমরা এসপিকে ফোন করতে থাকি এবং তিনি কখনই আমাদের ফোন ধরেননি। সোনম কী ভাবে গাজিপুরে পৌঁছল, তা আমাদের জানা নেই। আমরা চাই মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ও সিবিআই ঘটনার তদন্ত করুক। শিলং পুলিশ আমাদের সঙ্গে কোনও তথ্য শেয়ার করেনি। আমি শুধু বলতে চাই, এই ঘটনায় যদি সোনম জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’
এদিকে এই খুনের নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেম একটা কারণ হতে পারে। এই আবহে রাজ কুশওয়াহা নামে এক ব্যক্তির নাম সামনে আসছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে সোনমের বাবা জানিয়েছেন, রাজ নামে একটি ছেলে সোমনের সঙ্গে কাজ করে। তিনি বলেছিলেন যে তাঁর পদবি কুশওয়াহা কিনা তা তিনি জানেন না, তবে তিনি রাজকে চেনেন। তবে সোনম ও রাজের মধ্যে কোনও সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, রাজের সঙ্গে সোনমের কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি আরও জানান, সোনম ও রাজ দুজনের সম্মতিতে বিয়ে করেছিলেন। তিনি অস্বীকার করেছেন যে রাজাকে বিয়ে করার জন্য সোনমের উপর তার কোনও চাপ ছিল।

অপরদিকে মেয়ের গ্রেফতারির একদিন আগেই সোনমের মা তাঁর মেয়েকে খুঁজে বের করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এখন মেয়ে ধরা পড়েছে খুনের দায়ে। তবে মেয়েকে খুনি হিসেবে মানতে নারাজ মা। সোনমের মা সঙ্গীতাদেবী বলছেন, ‘মেয়ের খোঁজ মেলায় আমরা কৃতজ্ঞ, কিন্তু ব্যথা এখনও রয়ে গেছে।’ আইএএনএসকে তিনি বলেন, এখন আমরা জানতে চাই, রাজা হত্যার পেছনে কারা ছিল।
উল্লেখ্য, ইন্দোর দম্পতির মামলায় ১৭ দিন পর সবকিছু কাচের মতো পরিষ্কার মনে হচ্ছে। রাজা রঘুবংশীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর নিখোঁজ হয়েছিল স্ত্রী সোনম। সেই সোনমের সন্ধান মিলেছে। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মেঘালয়ের ডিজিপি জানিয়েছেন, রাজার স্ত্রী সোনম তাঁর স্বামীকে খুন করার জন্য বরাত দিয়েছিল।