রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গোপনে এসব সেনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা। এদিকে ইউক্রেনের খারকিভে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অঞ্চলটিতে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিত করায় বিকল্প ভাবছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মিত্রের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের আলোচনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২ জুলাই) ইউক্রেনের খারকিভে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালায় রুশ বাহিনী। হামলায় আগুনে পুড়ে যায় একটি ভবন, ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের আরও কয়েকটি স্থাপনা।
অন্যদিকে খেরসনে রুশ আর্টিলারি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি হাসপাতাল। আহত হন চিকিৎসক-রোগিসহ বেশ কয়েকজন। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। আর কিয়েভ বলছে, পুতিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে বেসামরিক স্থাপনা টার্গেট করে।

রুশ সেনারা যখন যুদ্ধের ময়দানে হামলা জোরদার করেছে ঠিক তখন অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংকটে ধুকছে ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায় অস্ত্রের মজুদ অনেকটা কমে যাওয়ায় তারা ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান স্থগিত করেছে।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, অস্ত্র-গোলাবারুদ স্থগিতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মিত্রের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের আলোচনার জন্যও দ্রতি প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ।
এর মধ্যে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, রাশিয়ায় প্রায় ৩০ হাজার সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এই সেনারা রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে গোপনে উত্তর কোরিয়ার ১১ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল রাশিয়া।