তুমেন নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার প্রথম সড়ক সেতু। এর অবস্থান দু’দেশের মধ্যকার একমাত্র স্থলপথ ‘ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’ নামের সোভিয়েত যুগের রেলসেতুর কাছেই। শুধু অবকাঠামো নয়, বরং এই স্থাপনাকে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত জোটের প্রতিচ্ছবি বলে মনে করছে দেশ দুটি।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বন্ধুত্ব ভূ-রাজনৈতিক মহলে বেশ পরিচিত। সম্প্রতি রাশিয়ার হয়ে উত্তর কোরীয় সেনাদের ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মস্কো ও পিয়ংইয়ং।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা জানান, রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৬০০ উত্তর কোরীয় সেনা। সেনা পাঠানোর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া পেয়েছে রুশ স্যাটেলাইট, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র।

এমন স্বীকারোক্তি আর গুঞ্জনের মধ্যেই মস্কো-পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক এবার পেতে যাচ্ছে এক নতুন মাত্রা। তুমেন নদীর ওপর শুরু হয়েছে দুই দেশের প্রথম সড়ক সেতু নির্মাণ। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাক থে-সাং ভার্চুয়ালি নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। ৮৫০ মিটার দৈর্ঘের এ সেতু রাশিয়ার হাইওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। ২০২৪ সালে পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরকালে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত আসে। তখনই স্বাক্ষরিত হয় ‘সম্পূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তি।