‘রাশিয়া ম্যাকডোনাল্ডসের জন্য রেড কার্পেট বিছিয়ে দেবে না!’

Spread the love

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট ও জুমকে রাষ্ট্রবিরোধী আখ্যা দিয়ে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।এদিকে ইউক্রেনের উপর রাশিয়া তাদের সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এর পরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে।

এক সরকারি বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করে এমন প্ল্যাটফর্মগুলিকে আর সহ্য করা উচিত নয়। আমাদের তাদের দমন করতে হবে।আমি দ্বিধা না করেই বলছি, এতে আমি পুরোপুরি একমত।’ পশ্চিমী দেশগুলির ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশীয় সফটওয়্যার সমাধান তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়াকে নিজের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।’ পুতিনের এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়া ক্রমাগত আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি সংস্থা ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত বা সীমিত করে দিয়েছে। 

পুতিন আরও বলেন, যে সব কোম্পানি রাশিয়াকে ছেড়ে চলে গেছে, যেমন মার্কিন ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস, তারা যদি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হবে না।তিনি বলেন, ‘তারা (ম্যাকডোনাল্ডস) সবাইকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে, চলে গেছে, আর এখন, যদি তারা ফিরে আসতে চায়, তাহলে কি আমাদের তাদের জন্য রেড কার্পেট বিছিয়ে দেওয়া উচিত? না অবশ্যই না।’

সম্প্রতি ইউক্রেনের উপর রাশিয়া সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে বলেছেন, মস্কো শান্তি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করলে ‘ব্যাপক প্রতিশোধ’ আসবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি প্রধান কাজা কালাস সর্বশেষ রুশ হামলাকে ‘সম্পূর্ণ ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং শিগগিরই নতুন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন

অন্যদিকে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও পুতিনের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘তিনি (পুতিন) যুদ্ধের জন্য পাগল হয়ে উঠেছেন। যদিও তিনি এখনও কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেননি, তবে স্পষ্ট করেছেন-পুতিনের প্রতি তার ধৈর্য শেষের পথে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *