এই সপ্তাহের শুরুতে ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিয়োয় বেশ ভাইরাল হয়েছে। বেশ কয়েকজন তরুণ একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছে। সেখানে তাঁদের থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতির নাম জানতে চাওয়া হলে, তাঁরা কেউ বলতে পারে না। ভারতীয়দের একটা বিশাল অংশের মধ্যে মৌলিক সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব তুলে ধরার জন্য তৈরি এই ভিডিয়োটি অভিনেত্রী তথা সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শনিবার, কঙ্গনা ভিডিয়োটির দুটি অংশ শেয়ার করেছেন, যাঁরা ভুল বলেছেন তাঁদের তীব্র নিন্দাও করেছেন।
কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভিডিয়োটির একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, সেখানে দেখা যায় ওই ভিডিয়োতে একজন অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নাম বলতে পারছেন না। তাঁকে ভিডিয়োতে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ওঁর নাম ভুলে গিয়েছি।’ এমনকী তিনি জানেনও না যে বর্তমান রাষ্ট্রপতি একজন পুরুষ নন বরং মহিলা। ভিডিয়োটি শেয়ার করার সময়, কঙ্গনা ভারত ও পাকিস্তানের অশান্তির আবহের প্রসঙ্গ টেনে এনে লিখেছেন, ‘যুদ্ধ আমাদের শেষ করে দেবে না। কিন্তু ফড়িংয়ের মতো মস্তিষ্কের কোষ এই প্রজন্মকে অবশ্যই শেষ করে দেবে।’

এপ্রিল মাসে জেনারেল জেড পালস নামে একটি ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে শেয়ার করা এই ভিডিয়োর শুরুতে একজন উপস্থাপক একদল মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি কে?’ একজন উত্তর দেয়, ‘আমি ওঁর নাম ভুলে গিয়েছি।’ অন্য একজন বলে, ‘মুরুনালি, আমি জানি না। মুরুনু নাকি অন্য কিছু।’
তৃতীয় একজন অংশগ্রহণকারী পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নাম উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, আর একজন জওহর লাল নেহেরুর নাম উল্লেখ করেন। বলেন যে হোস্ট কখনওই বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম উল্লেখ করতে বলেননি। তিনি আরও বলেন যে নেহরু ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ছিলেন। কিন্তু জহরলাল নেহরু কখনও রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। তিনি ১৯৪৭-৬৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
কঙ্গনা রানাওয়াত ‘ব্লেসড বি দ্য ইভিল’ নামের একটি হরর ছবির হাত ধরে হলিউডে পা রাখতে চলেছেন। তিনি ছাড়াও সেখানে অভিনয় করবেন টাইলার পোসি এবং হলিউড আইকন সিলভেস্টার স্ট্যালোনের মেয়ে স্কারলেট রোজ স্ট্যালোন। ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদন অনুসারে, ‘ব্লেসড বি দ্য ইভিল’ এই গ্রীষ্মে নিউ ইয়র্কে শুরু হবে।