রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের রহস্যমৃত্যু

Spread the love

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কদিন আগেই বিয়ে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র ছেলের নাম সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম দাশগুপ্ত। যিনি দিলীপ ঘোষকে বাবা বলে মনে নিতে রাজি ছিলেন। মায়ের বিয়েতে থাকতে পারেননি তিনি। তবে এই ঘটনায় খুশি হয়েছিলেন বলে প্রীতম নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। আজ, মঙ্গলবার তাঁর রহস্যমৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, রিঙ্কুর একমাত্র ছেলেকে বিধাননগর সেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রীতম আত্মহত্যা করেছেন।

অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন প্রীতম দাশগুপ্ত (‌২৬)‌। সল্টলেকের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর ডাকনাম প্রীতম। সৃঞ্জয় ছিল অফিসিয়াল নাম। একমাস আগেই রিঙ্কু মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের বিয়ে দূর থেকে দেখেছিলেন তিনি। তখন আসতে পারেননি। তবে সংবাদমাধ্যমে নিজের খুশির কথা জানিয়েছিলেন। দিলীপ–রিঙ্কুর বিয়ের সময়ই সামনে এসেছিল ছেলে সৃঞ্জয়ের কথা। তখন সৃ্ঞ্জয় ওরফে প্রীতম প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, আগে থেকে পরিকল্পনা করা রয়েছে বলে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন তিনি। তাই মায়ের দ্বিতীয় বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। কিন্তু এই বিয়েতে তিনি খুব খুশি। বিয়ের পরিকল্পনায় তাঁর বড় ভূমিকা ছিল।

আজ প্রীতমের দেহ উদ্ধারের পর প্রথমে সেটা নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রীতম দাশগুপ্ত নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে একাই থাকতেন মা রিঙ্কুর বিয়ে পর। মা রিঙ্কু দিলীপ ঘোষের বাড়িতে থাকতেন। সেখানেই আজ সকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বইতে শুরু করেছে। কারণ দিলীপ ঘোষ এবং রিঙ্কু মজুমদার দু’‌জনেই বিজেপি করেন।

তবে বিয়ের কদিনের মধ্যেই দিলীপ–রিঙ্কুর জীবনে নেমে এল দুঃসংবাদ। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে সৃঞ্জয়ের। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল?‌ এটা খুন নাকি আত্মহত্যা?‌ রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিল কেউ?‌ তাহলে সে কে?‌ শোকের ছায়া নেমে এসেছে দিলীপ রিঙ্কুর জীবনে। একজনকে নতুন করে পেলেন রিঙ্কু ঠিকই। আর পুরনোকে হারালেন আকস্মিকভাবে। পুলিশ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখছেন। স্ত্রীকে নিয়ে দিলীপ সদ্য ঘুরে এসেছিলেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও। তা নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। তবে সবটা তদন্ত করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *