রূপান্তরকামীরা মহিলা ক্রিকেটে খেলতে পারবেন না

Spread the love

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মহিলা এবং নারীদের ক্রিকেট থেকে ট্রান্সজেন্ডার মহিলাদের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ইসিবির তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে তারা গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাদের পূর্ববর্তী বিধিনিষেধগুলি নবিকরণ ও সংশোধন করেছে।

ইসিবির বড় ঘোষণা
জানা গেছে, যারা নারী হিসেবেই জন্মেছেন এবার থেকে একমাত্র তাঁরাই ইংল্যান্ডে আয়োজিত কোনও মহিলা না নারী ক্রিকেটে খেলতে পারবেন, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। “ট্রান্সজেন্ডার মহিলা এবং মেয়েরা মিশ্র ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন,” জানিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।

মহিলা ফুটবলেও ব্রাত্য রূপান্তরকামীরা
ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলে ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের খেলা নিষিদ্ধ করার একদিন পরই এই ঘোষণা করা হল ইসিবির পক্ষ থেকে। এই বছরের শুরু থেকেই ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামীদের মহিলা ক্রিকেটের শীর্ষ দুই স্তর থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে বিনোদনমূলক ক্রিকেটে মহিলাদের খেলায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই সিদ্ধান্ত
দুই সপ্তাহ আগেই ইউনাইটেড কিংডমের সর্বোচ্চ আদালত একটি রায় জারি করে। কারণ গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে অলিম্পিক্স থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ক্রীড়ামঞ্চেই রূপান্তরকামীরা নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে খেলায় এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে জন্মগতভাবে নারী যারা, তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। কিছু নারীবাদী গোষ্ঠী এই রায়কে স্বাগত জানালেও, ট্রান্স-রাইটস গোষ্ঠীগুলি এর নিন্দা করেছে, যারা বলেছে যে এটি দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক এবং ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে। যদিও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যাতে এই সিদ্ধান্তের ফলে রূপান্তরকামীদের কোনও সমস্যা না হয়, বা তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তাই তাঁদের সঙ্গে কাজ করবে এবং খেয়াল রাখবে তাঁরা।

ইসিবির তরফে জানানো হয়েছে ইকুয়ালিটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিশনের সুপারিশ মেনেই তাঁরা কাজ করবেন, যাতে কোনওভাবেই রূপান্তরকামীদের সঙ্গে বৈষম্য করা বা তাঁরা হেনস্থার মুখে না পড়েন। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার জন্য এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যা নিয়ে বর্তমানে আদালতে মামলাও চলছে। এই আবহেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটেও ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে এই সিদ্ধান্তকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আরও একটা কারণ হল, ইংল্যান্ডের হাত ধরেই ক্রিকেটের প্রাথমিক প্রসার ঘটেছিল। ফলে সেখানেই খেলায় এই বৈষম্য সঠিক কি সঠিক নয়, সেটা নিয়ে বিতর্ক চলতেই থাকবে আগামী কয়েকটা দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *