রেডিও শুনে ইংরেজি শেখা! পেশায় মুচি হুয়াংয়ের

Spread the love

বয়স ৪৪। পা হারিয়েছেন দুর্ঘটনায়। পেশায় মুচি। কিন্তু এসব কোনও কিছুই তাঁকে ইংরেজি শেখা থেকে বিরত রাখেনি। চিনের গুয়াংডং প্রদেশের হেইয়ুয়ানের গ্রামের বাসিন্দা হুয়াং হুয়াকান। মধ্যবয়স্ক এই ব্যক্তি নিজের চেষ্টায় ইংরেজি শিখছেন একটাই স্বপ্ন সফল করতে। হার্ভার্ডে বক্তৃতা দেওয়ার স্বপ্ন। তাঁর কথায়, তিনি বিশ্বাস করেন তিনি পারবেন। তিনি বাস্তবে করে দেখাবেন। বর্তমানে নেট দুনিয়ায় নয়া সেনসেশন হুয়াং।

রেডিও শুনে ইংরেজি শেখা

ইংরেজি শিখব বলেই তো শেখা যায় না। কারও না কারও কাছে শিখতে হয়। ভর্তি হতে হয় তেমন কোনও ক্লাসে। বা খবরের কাগজ কিনে পড়ে পড়ে শিখতে হয়। কিন্তু সেসব সামর্থ্য ছিল না হুয়াংয়ের। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের রিপোর্ট মোতাবেক, সে নিজের চেষ্টাতেই ইংরেজি শিখেছে রেডিয়ো থেকে। দিনের পর দিন রেডিয়ো শুনে শুনেই আয়ত্ত করেছে একটি অজানা বিদেশি ভাষা।

বেইজিং নিউজের খবর অনুযায়ী, গুহুয়াং হুয়াকুয়ান মাত্র ছয় বছর বয়সে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হন। গ্রামীণ বাজারে একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা দেয়, বাদ যায় তার পা। দুর্ঘটনার পর কোনওরকমে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছিলেন হুয়াং। কিন্তু তার পর তাঁর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে হয়। বিশেষভাবে সক্ষম হলেও হুয়াং ছোটবেলা থেকেই ইংরেজির প্রতি ভীষণ আগ্রহ বোধ করতেন। বন্ধুদের কাছ থেকে পুরনো পাঠ্যপুস্তক ধার করে করে পড়তেন। নিজের বাড়িতে একটি ক্যাসেট টেপ ছিল। আর ছিল একটি রেডিও। সেগুলিতে যখনই কোনও সম্প্রচার হত, তখনই মন দিয়ে শুনতেন। এভাবেই নিজে নিজে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। বছরের পর বছর ধরে তার সেই নিষ্ঠার ফল এসেছে।

হার্ভার্ড স্বপ্ন

বর্তমানে তার কাহিনি বেইজিংয়ের হার্ভার্ড অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের কানে পৌঁছেছে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জু লিয়াং এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। হুয়াংকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য যদি কোনওভাবে আমন্ত্রণ জানানো যায়, সেই চেষ্টাই চলছে। জু অনলাইনে হুয়াংয়ের সাথেও যোগাযোগ করেছেন। একরকম প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন যে, তার দল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সেখানে হুয়াং শত শত প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে কথা বলতে পারবে। হুয়াংয়ের কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি পারব..।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *