লিভারপুলের ভিকট্রি প্যারেডে পরপর ধাক্কা গাড়ির! শিশুসহ আহত ২৫-র বেশি

Spread the love

আনন্দই পরিণত হল আতঙ্কে। লিভারপুল সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে। য়ুরগেন ক্লপের পর লিভারপুলের হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা হয়ে উঠেছেন আর্নে স্লট। সেই মত সবাই লিভারপুলের জয়োৎসবে মাততে বেরিয়েছিল ভিকট্রি প্যারেডে। কিন্তু সেটাই যেন কাল হল। নিজেদের ২০তম লিগ খেতাব জিতে সমর্থকরা আনন্দ করতে বেরিয়ে ছিলেন। তবে অনেকেই আর বাড়ি ফিরতে পারলেন না। ভয়ঙ্কর দুর্ঘনটার মুখে পড়ে তাঁদের যেতে হল হাসপাতালে।
লিভারপুল সমর্থকদের ভিকট্রি প্যারেডের মধ্যে দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দিলেন এক চালক। তাতেই ভয়ংকর অবস্থা হল লিভারপুল সমর্থকদের। প্রায় ২৭ জন সমর্থককে কার্যত উড়িয়ে আর মাটিতে পিষে দেওয়ার মতো করে গাড়ি চালিয়ে দেন সেই চালক। সেই ভিডিও ফটবল প্রেমীদের মন খারাপ করে দিচ্ছে। বেশ কয়েকজন শিশুও এই ঘটনায় আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে ১ শিশুসহ ২জনের অবস্থা সংকটজনক।

ভিডিওতে দেখতে পাওয়া যায় লিভারপুলের ভিকট্রি প্যারেডের ভিড়ের মধ্যেই পর পর আনন্দে মাতোয়ারা সমর্থকদের ধাক্কা মারে সেই গাড়িটি। ৫৩ বছর বয়সী গাড়ির চালককে আটক করে হয় ঘটনাস্থন থেকে। জানা গেছে তিনিও লিভারপুলেরই বাসিন্দা। মার্সিসাইড পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে বিষয়টি সামাল দেন এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা এলাকাটি তখনকার মত ফাঁকা করার চেষ্টা করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে,কারণ সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে সমর্থকরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করায় পদপিষ্টের মতো ঘটনাও ঘটতে পারত। কীভাবে এমন ভিড়ের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল, চালক কি মদ্যপ ছিল? ঘটনাটি কি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটিয়েছেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।


লিভারপুল ক্লাবের তরফেও সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং পুরো ঘটনায় আকস্মিকতায় তাঁরাও হতবাক। সেই চালককে ধরে ফেলে জনতা মারতে শুরু করে। এরই মধ্যে যারা গাড়ি চাপা পড়েছিল, পুলিশ তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করতে থাকে। রবিবারই আনফিল্ডে দলের ড্রয়ের পর ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেট করে লিভারপুল ফুটবলাররা। মহম্মদ সালাহ গোল্ডেন বুট জিতে নেন। কথা ছিল ভিকট্রি প্যারেডেও আনন্দ হবে, কিন্তু সেটা হল না। লিভারপুলের ফুটবলাররাও ঘটনাটি দেখার পর কয়েকজন চলে আসে সেই আহত সমর্থকদের কাছে। কারণ তাঁরাও সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে চাইছিলেন সেই মূহূর্তে, কিন্তু ঠিক কি হচ্ছে, সেটা তাঁরাও বুঝতে পারছিলেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *