শহরে ফের স্লোগান ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’

Spread the love

হাসপাতালের গেটেই আটকে গেল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হওয়া মিছিল। আরজিকর হাসপাতালের সামনে আটকে দেওয়া হয় মিছিলকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। একাধিক চিকিৎসকও রয়েছেন এই প্রতিবাদ মিছিলে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রতিবাদকারীরা। কার্যত সোমবার রাতে তুলকালাম পরিস্থিতি আরজিকরের গেটের সামনে।

প্রতিবাদকারীদের দাবি, আরজিকর কাণ্ডে এখনও ন্যায় বিচার মেলেনি। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এক অজ্ঞাত কারণে সিবিআই চুপচাপ হয়ে গিয়েছে।

সোমবার মিছিল করে প্রতিবাদকারীরা আরজিকর হাসপাতালের মূল গেটের সামনে আসেন। তাঁরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের গেটেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে তীব্র বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররাও আরজিকর চত্বরে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন। সেই আন্দোলনের সঙ্গে শামিল হতে চেয়েছিলেন অভয়া মঞ্চের সদস্য়রা। কিন্তু হাসপাতালের গেটেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, এবার লাগাতার আন্দোলন শুরু হবে। রাজ্য জুড়ে এই আন্দোলন হবে। ৯ অগস্টের আগে গোটা রাজ্য জুড়ে অন্তত ১০০টা সভা করবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি সিবিআই আচমকা নীরব হয়ে গিয়েছে। তদন্ত যেন আর এগোচ্ছে না। তবে কি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে?

আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হয়ে গেল। যে প্রশ্নগুলি আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাইনি। এই গোটা ঘটনাকে ঘিরে যে অনৈতিকতা তৈরি হয়েছে সেটা কিছুতেই মানা যায় না।

আরজিকর কাণ্ড। গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই ঘটনা। আরজিকরের এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। হাসপাতালের মধ্যেই এই নারকীয় ঘটনার কথা শুনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। দেশ জুড়ে উঠেছিল স্লোগান। বিদেশের মাটিতেও উঠেছিল স্লোগান উই ওয়ান্ট জাস্টিস। দিনের পর দিন ধরে এই আন্দোলন চলেছে।

ফের নতুন করে দানা বাঁধছে আন্দোলন। এদিকে আন্দোলনকারীরা সোমবার আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। টালা থানার সামনেও তাঁরা এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা আরজি করের সামনে আসেন। মোমবাতি মিছিল করে তাঁরা এসেছিলেন আরজিকরের সামনে। এদিকে বর্তমানে আরজিকরের পাহারার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। রাজ্য পুলিশও থাকে বাইরে। মিছিল হাসপাতালের সামনে আসতেই আটকে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে একেবারে তুলকালাম পরিস্থিতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *