শিয়ালকোট শহরের থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই আখনুর সীমান্তে ভারতে গুলি চালাল পাকিস্তান। বিনা প্ররোচনায় এই গুলি চালায় তারা। এই আবহে ভারতও পালটা জবাব দেয় বলে জানিয়েছে সেনা। সেনার কথায়, পাকিস্তান ছোট অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছিল। সেই মতো যথাযথ জবাব দিয়েছেন ভারতীয় জওয়ানরাও।
সেনার তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, কুপওয়ারা এবং উরিতেও সীমান্তের ওপার থেকে গুলি করা হয়েছে ভারতীয় পোস্ট লক্ষ্য করে। এর জবাবে সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় জওয়ানরাও পাকিস্তানি পোস্টে পালটা গুলি ছুড়েছে। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে রোজই নিয়ম করে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা।
ভারতীয় সেনা এই নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘৩০ এপ্রিল এবং ১ মে-র রাতে পাকিস্তানি সেনার পোস্ট থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছিল। ছোট অস্ত্র থেকেই গুলি ছোড়া হয়েছিল। কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণ রেখার বিপরীত দিক থেকে সেই হামলা করা হয়। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের উরি এবং আখনুরেও হামলা হয়। এই সব হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’ উল্লেখ্য, একদিকে পাকিস্তান শান্তির আর্জি জানাচ্ছে, অপরদিকে তারা সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় এই সব কাণ্ডকারখানা করে বেড়াচ্ছে। এরই মাঝে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেছিলেন, তাদের কাছে খবর আছে যে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত। তিনি এই আবহে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ভারতের যেকোনও আগ্রাসী পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং এ অঞ্চলের যেকোনও সংকটের জন্য ভারতকে দায়ী করা হবে।

এহেন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান সরকার। এর জন্যে তাদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিভিন্ন রাজধানীতে পাঠিয়েছে তারা। সন্ত্রাসীদের বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। এর মাঝে গতকাল পাক প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কো রুবিও।