শীতলকুচিতে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি বিধায়ক

Spread the love

বিজেপি বিধায়ককে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, চার বছর ধরে এলাকায় দেখা যায়নি বিধায়ককে। কোনও উন্নয়ন হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ ফর্মেও সই করেননি। তাই পুজোর দিনেও রেহাই পেলেন না কোচবিহারের শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মণ। গুরু পূর্ণিমার মতো পবিত্র দিনে কালীমন্দিরে পুজো দিতে গিয়েও জনরোষের মুখে পড়েন তিনি। গোঁসাইহাটে তাঁকে ঘিরে চলল তীব্র বিক্ষোভ। উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

জানা গিয়েছে, গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে গোঁসাইহাট বাজারের কালীমন্দিরে পুজো দিতে যান বরেনচন্দ্র বর্মণ। কিন্তু মন্দিরে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় হইচই। স্থানীয়দের একাংশ তাঁকে ঘিরে ধরেন। বিক্ষোভ দেখান, ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে গমগম করে ওঠে মন্দির চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে যান বহু মানুষ। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, তিনি একা গিয়েছিলেন পুজো দিতে। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাঁকে অপমান করেছে। গালিগালাজ করা হয়েছে। এমনকি মন্দিরে বসে পুজো করার সময়ও শান্তি পাননি। এটা কি রাজনৈতিক সংস্কৃতি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তবে তাঁর এই দাবি খারিজ করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল। শাসক দলের নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। স্থানীয় মানুষ নিজেরাই ক্ষুব্ধ। কারণ গত চার বছর ধরে এই বিধায়ক এলাকায় আসেননি। কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেউ কোনও কাজে গেলে দেখা মেলে না তাঁর। এমনকি স্কলারশিপের ফর্মে সই পাওয়ার জন্যও হয়রানি হতে হয় মানুষকে। তাই তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন। এটা একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ। ঘটনার পর গোঁসাইহাটে টানটান উত্তেজনা। যাতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত হয়ে না ওঠে তারজন্য এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। স্থানীয়দের মতে, নির্বাচনের সময় হাতজোড় করে যাঁরা ভোট চান, তাঁদের থেকে জনসংযোগ, কাজ, দায়বদ্ধতা প্রত্যাশিত। কিন্তু বরেনচন্দ্রবাবু গত চার বছরে সে প্রত্যাশা পূরণ করেননি বলেই এই ক্ষোভ জমেছিল বহুদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *