শুনেই অটোগ্রাফ দেওয়া বন্ধ করে দিলেন আলকারাজ

Spread the love

গত বছরের কথা। যেদিন উইম্বলডন ফাইনালে কার্লোস আলকারাজ এবং নোভাক জকোভিচ একে অপরের বিপক্ষে নেমেছিলেন, সেদিন স্প্যানিশ তারকা খেলতে নামার আগেই বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন দিনটি স্পেনের জন্য ভালো যাবে। কারণ সেদিন রাতে ছিল ইউরো কাপের ফাইনালও, যেখানে ইল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার কথা ছিল স্পেনের। সেই দিনটি সত্যিই ভালো গেছিল স্পেনের জন্য। কারণ প্রথমে নোভাক জকোভিচের অশ্বমেধের ঘোড়ার দৌড় আটকে দিয়ে উইম্বলডন খেতাব জিতেছিলেন আলকারাজ, এরপরই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চতুর্থবারের জন্য ইউরো কাপ ঘরে তুলেছিল স্পেন।

লামিন ইয়ামালদের দল রবিবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগালের। আর সেদিনই কাকতালীয়ভাবে ছিল ফরাসি ওপেনের ফাইনাল। যেখানে আবার জানিক সিনারের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন কার্লোস আলকারাজ। দুটো ম্যাচই চলছিল প্রায় একসময়, অর্থাৎ ভারতে তখন মধ্যরাত। স্পেনের আলকাকরাজ ফরাসি ওপেনের ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে সিনারকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেন। এরপরই তিনি অপেক্ষা করছিলেন স্পেনেরও জেতার। মানে গতবছরের পুনরাবৃত্তি আর কি। কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান পর্তুগিজ রোনাল্ডো, নুনো মেন্দেজ, দিয়েগো কোস্তারা।

স্পেনকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। সেই খবর প্রথমে জানতেই পারেননি ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাজ। এমনিতেও এই ম্যাচে পর্তুগাল আন্ডারডগ হিসেবেই নেমেছিন স্পেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্পেনের হারের খবর পাওয়ার পরই মন খারাপ হয়ে যায় ফুটবলভক্ত আলকারাজের। সিনারকে ৪-৬, ৬-৭, ৬-৪, ৭-৭, ৭-৬ ফলে হারানোর পরেও নিজের আনন্দ উপভোগ করার থেকেও বেশি কষ্ঠ পান আলকারাজ, তাঁদের ফুটবল দল উয়েফা নেশন্স লিগ জিততে না পারায়।

নিজের কেরিয়ারের পঞ্চম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের পরই কোচ, দলের সদস্য, বল বয়দের সঙ্গে আনন্দ করছিলেন আলকারাজ। কিন্তু লকার রুমে কিছুক্ষণ পরই আলকারাজ জানতে পারেন যে রোনাল্ডোর পর্তুগালের বিরুদ্ধে স্পেন হেরে গেছে মিউনিখে বহুকাঙ্খিত ফাইনালে, আর তারপরই মন ভেঙে যায় তাঁর। এটা শোনার পরই তিনি ভক্তদের অটোগ্রাফ দেওয়াবন্ধ করে দেন। চোখ মুখও পুরো যেম গোমরা হয়ে যায় তাঁর। খবরটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ হাত রেখে তাড়াতাড়ি ফোন হাতে নিয়ে ম্যাচের আপডেট খোঁজা শুরু করেন কার্লোস আলকারাজ। প্রসঙ্গত নেশন্স লিগ ফাইনাল শুরুর আগে বেশ কয়েকজন স্প্যানিশ ফুটবলারও আবার আলকারাজ বনাম সিনারের ম্যাচেই নজর রেখেছিলেন, নিজেদের দেশের ছেলের জয় দেখবেন বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *