শূন্য থেকে শুরু করে কিভাবে তিলে তিলে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে গঠন করেছিলেন গম্ভীর!

Spread the love

২০২২ সালে আইপিএলে অন্তর্ভুক্ত হয় দুটি নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস‌‌‌। আরপিএসজি গ্রুপ অর্থাৎ সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ইতিমধ্যেই আইপিএলে তিনটি মরশুম খেলে ফেলেছে। প্রথম দুই মরশুমে তারা প্লে অফ পর্যায়েও উঠেছিল। তবে ফাইনালে খেলা হয়নি তাদের। তৃতীয় মরশুমে তারা প্লে অফের লড়াইতে থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। প্রথম দুই মরশুমে লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের দায়িত্ব ডাগ আউট থেকে সামলান গৌতম গম্ভীর। তাঁকে সাহায্য করার জন্য কোচিং স্টাফে ছিলেন জন্টি রোডস,মর্নি মর্কেলরা।

তৃতীয় মরশুম শুরুর আগে তিনি তাঁর পুরনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নিয়েই কেকেআরকে তাদের ইতিহাসে তৃতীয় আইপিএলের শিরোপা জিততেও সহায়তা করেন। এরপর বর্তমানে তাঁকে দেওয়া হয়েছে সিনিয়র ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তাঁর দলের প্রাক্তন মেন্টরকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টস‌‌‌ দলের অন্যতম মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তাঁর মতে কোন অ্যানালিস্ট ছিল না,কোন রিসার্চ ছিল না সেই অবস্থাতেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের সম্ভাব্য দল কি হতে পারে তা নিলামের দুই সপ্তাহ আগে নিজে নিজে বসেই তৈরি করেছিলেন গৌতম গম্ভীর!

কথায় বলে একা কুম্ভ! লখনউ সুপার জায়ান্টসের জন্য প্রথম মরশুমে সেই কাজটাই করেছেন গৌতম গম্ভীর। সঞ্জীব গোয়ঙ্কা জানিয়েছেন অ্যানালিস্ট ছিল না,কোন রিসার্চ ছিল না,ছিল কোনরকম কোন স্কাইট টিম যারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রিকেটারদেরকে বেছে বেছে তুলে আনবে। এত কিছু না পাওয়ার মধ্যেও গৌতম গম্ভীর একাই সবকিছু করেন। লখনউ সুপার জায়ান্টস‌‌‌ দলকে গড়ে তুলতে গৌতম গম্ভীরের সেই ভূমিকাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। কেকেআর টিম বা তাঁর ম্যানেজমেন্টের গম্ভীরের প্রতি আস্থা অজানা নয়। এবার কিভাবে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে দলকে গড়ে তুলেছিলেন গম্ভীর সেকথা জানিয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক।

বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে স্পোর্টস টককে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন ‘ দলের ফাইন্ডেশন তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল গম্ভীর। যদি আপনারা মনে করেন যে আমাদের প্রথম নিলাম সাফল্য পেয়েছিল তাহলে তার কৃতিত্ব যাবে গম্ভীরের কাছে। গৌতমের কারণেই নিলামের দুই সপ্তাহ আগে আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পাই। সবটাই ছিল গৌতম গম্ভীরের দল। সব কাজ ও একা করেছে। খুব শক্তিশালী এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল গড়ে তুলেছিল। প্রত্যেকের একটা নির্দিষ্ট রোল রয়েছে। গৌতম ওঁর যে ভূমিকা ছিল তা অনবদ্যভাবে মিটিয়েছে। আমাদের কোন রিসার্চ টিম ছিল না। ছিল না কোন স্কাইটের টিম। কোন অ্যানালিস্টও ছিল না। এইসব ভূমিকাতেই সেই সময়ে দেখা গিয়েছে গম্ভীরকে। ও নিজে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে টিমটাকে দাঁড় করিয়েছিল।’

২০২২ সালে অন্য আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে লড়াইতে এঁটে উঠতে দুটি নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিকে তিনটি ড্রাফট ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় নিলামের আগেই। সেই সময়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস‌‌‌ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঠিক পরিকাঠামো কার্যত ছিল না। পুরো বিষয়টি গম্ভীর নিজে থেকে দেখা শুরু করেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *