‘ষড়যন্ত্র হয়েছে’! দাবি কার্তিক মহারাজের

Spread the love

এক মহিলাকে ধর্ষণ ও জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে। ঘটনায় থানায় এফআইআর দায়ের হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপরেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর করা মামলায় বুধবার সময় চাইল রাজ্য। সেই আর্জি মঞ্জুর করার পাশাপাশি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সবপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামিকাল ফের মামলার শুনানি হতে পারে।

ঘটনার সূত্রপাত মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায়। ২৮ জুন থানায় গিয়ে এক মহিলা জানান, ২০১৩ সালে তাঁকে চাকরির টোপ দিয়ে নবগ্রামের এক আশ্রমে নিয়ে যান কার্তিক মহারাজ। আশ্রমের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করার পাশাপাশি থাকার ঘরও দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানেই এক রাতে হঠাৎ মহারাজ ঘরে ঢুকে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। পরিস্থিতির চাপে পড়ে তা মেনে নিতে বাধ্য হন তিনি। পরে দীর্ঘ সময় ধরে চলে নির্যাতন। তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করানো হয় বলেও অভিযোগ।

থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সোমবার নবগ্রাম থানার পুলিশ বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে গিয়ে কার্তিক মহারাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বলা হয়, পরদিন সকাল ১০টায় তাঁকে থানায় হাজির হতে হবে। তবে তিনি থানায় না গিয়ে এফআইআর বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। মঙ্গলবার মামলা দায়ের হওয়ার পর বুধবার তা ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। শুনানিতে কার্তিক মহারাজের আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল সময় চাওয়ায় বিচারপতি তা মঞ্জুর করেন এবং নির্দেশ দেন, সবপক্ষ যেন তাঁদের বক্তব্য হলফনামা আকারে দাখিল করেন।

বিচারপতি আরও বলেন, মামলাকারীর আইনজীবী যেন বৃহস্পতিবার ফের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। ফলে বৃহস্পতিবার ফের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, তাই এখনই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ করা হবে না বলে রাজ্য জানিয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, হলফনামা জমা না পড়া পর্যন্ত তিনি কোনও নির্দেশ দিচ্ছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *